ডাবের জল কাদের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়? ছবি: সংগৃহীত।
দেহে জলশূন্যতার সমস্যা কমাতে ডাবের জলের জুড়ি মেলা ভার। বাজারজাত নরম পানীয়ের তুলনায় ডাবের স্বাস্থ্যগুণও অনেক বেশি। বিশেষ করে ভ্যাপসা গরমে গলা ভেজালে ডাবের জল দিতে পারে আরাম। জলের ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি দেহে খনিজ পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সহায়তা করে ডাবের জল। কিন্তু এত রকমের স্বাস্থ্যগুণ থাকলেও, অতিরিক্ত ডাবের জল পান করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। জেনে নিন, কোন কোন অসুখ থাকলে ডাবের জল খাওয়ার আগে সচেতন হতে হবে।
১) রক্তচাপ প্রায়ই ওঠানামা করে? সে ক্ষেত্রে কিন্তু ডাবের জল খেতে হবে বুঝেশুনে। ডাবের জলে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম ও পটাশিয়াম থাকে। যদি শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়, তা হলে রক্তচাপ বাড়বে। আবার পটাশিয়াম বেড়ে গেলে রক্তচাপ কমবে। যাঁদের এই সমস্যা আছে, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই ডায়েটে ডাবের জল রাখুন।
২) সাধারণত দেখা গিয়েছে, বাজারচলতি নরম পানীয় বা প্যাকেটজাত ফলের রসের থেকে ডাবের জলে শর্করার মাত্রা অনেকটাই কম। তবে ডায়াবেটিকদের জন্য রোজ রোজ ডাবের জল খাওয়া কিন্তু মোটেই নিরাপদ নয়। ডায়াবিটিসের রোগী কী মাত্রায় ইনসুলিন নিচ্ছেন অথবা কেমন ওষুধ খাচ্ছেন, তার উপরে নির্ভর করেই চিকিৎসক বলতে পারবেন যে, আদৌ সেই রোগী সপ্তাহে এক দিনও ডাবের জল খেতে পারবেন কি না।
৩) ডাবের জলে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। যাঁদের কিডনির অসুখ আগে থেকেই আছে, তাঁরা নিয়মিত ডাবের জল খেতে শুরু করলে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে ‘হাইপারক্যালসিমিয়া’ হতে পারে। ফলে শরীরে খনিজ উপাদানগুলির ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে।