Holi 2024

সদ্য জিমে ভর্তি হয়েছেন? ওজন না বাড়িয়েও কী ভাবে দোলের ভূরিভোজ সারবেন, রইল হদিস

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পছন্দের খাবার থেকে দূরে থাকার প্রয়োজন নেই, পরিমাণটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই কেল্লাফতে। কেবল ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রেই নয়, সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যও কিন্তু ভীষণ জরুরি খাবারের পরিমাণের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৪ ১৩:০৮
Share:

ভূরিভোজ সেরেও কী ভাবে রোগা থাকা যায়? ছবি: সংগৃহীত।

যে কোনও উৎসব অনুষ্ঠান মানেই তো খাওয়াদাওয়ার পর্ব। রঙের উৎসবেও ভূরিভোজ না হলেই নয়। দোল মানেই তো ঠান্ডাই, শরবত আর দুপুরের ভোজে নানা রকমের সুস্বাদু পদ। তবে বাড়তি ভুঁড়ি যে চিন্তায় ফেলেছে! সদ্য জিমে যাওয়া শুরু করেছেন, এর মাঝে দোলে বেশি খাওয়াদাওয়া করলেই তো মুশকিল। ভাবছেন বুঝি মাছ, মাংসের হরেক রকম পদ সামনে দেখেও চোখ ফিরিয়ে থাকতে হবে? না! এমনটা নয়, উপায় জানলে পছন্দের খাবার খেয়েও রোগা হওয়া সম্ভব। জানতে হবে সঠিক কৌশল।

Advertisement

পুষ্টিবিদদের মতে, রোগা হতে গেলে কী খাচ্ছেন, সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই কতটা খাচ্ছেন, সে দিকেও নজর দিতে হবে। খাবারের পরিমাণের উপর রাশ টানতে পারলেই ওজন ঝরার প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করা সম্ভব। পছন্দের খাবার থেকে দূরে থাকার প্রয়োজন নেই, পরিমাণটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই কেল্লাফতে। কেবল ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রেই নয়, সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যও কিন্তু ভীষণ জরুরি খাবারের পরিমাণের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা।

দোলে ভাল-মন্দ খেয়েও কী ভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন?

Advertisement

১) দোলের দিন বাইরে বেরিয়ে খাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে খালি পেটে ভুলেও থাকবেন না। রং খেলার আগে চেষ্টা করুন বাড়ি থেকে হালকা কিছু খেয়ে বেরোনোর। এক বাটি স্যালাড হোক কিংবা অঙ্কুরিত ছোলা, হতে পারে ফল বা বাদামের স্বাস্থ্যকর চাটও। পেট ভরা থাকলে বাইরে বেরিয়েও খুব বেশি ভুলভাল খাবার খাওয়ার ইচ্ছা থাকবে না।

২) দোল মানে তো মিষ্টিমুখ করতেই হবে। তবে ওজন বেড়ে যাওয়ার পিছনে অন্যতম বড় কারণ হল মিষ্টি খাওয়া। তাই বলে কি উৎসবের দিনে মিষ্টি খাবেন না? বাইরে থেকে কেনা গুজিয়া, রাবড়ি, রসগোল্লা নয়, বাড়িতে বানানো স্বাস্থ্যকর মিষ্টি খেতে পারেন। ছানার মধ্যে পরিমাণ মতো মধু বা খেজুর বাটা আর ড্রাই ফ্রুটস মিশিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন মাখা সন্দেশ। এ ছাড়া ওট্‌সের লাড্ডু, মাখানার পায়েস বানিয়ে খেতেই পারেন।

দোল মানে তো মিষ্টিমুখ করতেই হবে। ছবি: সংগৃহীত।

৩) দোলের ভূরিভোজ বড় মাপের থালা-বাটির বদলে ছোট থালা-বাটিতে করতে পারেন। খাবারের পরিমাণের উপর নজর রাখা কিন্তু বেশ জরুরি। এই পন্থা মেনে চললে খাবারের পরিমাণের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব।

৪) থালায় অর্ধেকটা অংশে থাকবে শাক-সব্জি। বাকি অর্ধেকে থাকবে প্রোটিন (মাছ, মাংস, ডিম) এবং কার্বোহাইড্রেট। পুষ্টিবিদদের মতে, সুস্বাস্থ্য পেতে এই পন্থা সকলেরই মেনে চলা উচিত। বাইরে গেলে কোনও খাবার অর্ধেক প্লেট অর্ডার করুন। আর পছন্দের সব জিনিস একসঙ্গে অর্ডার করবেন না। এক-এক দিনে এক-একটা পছন্দের জিনিস খান, তবে অবশ্যই পরিমাণটা মাথায় রেখে।

৫) দোলের দিন হই-হুল্লোড়ের মাঝে জল কম খেলে কিন্তু চলবে না। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিন্তু জল খাওয়া বেশি জরুরি। কখনও খুব বেশি মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে কিংবা ভাজাভুজি খেতে মন চাইলে বেশ করে জল খেয়ে নিতে পারেন। শরীরে জলের চাহিদা পূরণ হলে কিন্তু কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন