বাতের ব্যথা থাকলে শীতকালে কোন ৫ ভুল করবেন না? ছবি: এআই।
একটা সময় পর্যন্ত অনেকের ধারণা ছিল, বয়স আর বাতের ব্যথা সমার্থক! সে ধারণা এখন অনেকটাই বদলে গিয়েছে। অল্পবয়সিদেরও এখন কাবু করছে বাতের ব্যথা। আর্থ্রাইটিসের ব্যথা সারা বছরই থাকে। তবে শীত পড়লে তা আরও কষ্টদায়ক হয়ে ওঠে। দেহের বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে তীব্র ব্যথা-যন্ত্রণা হয়। গাঁটে গাঁটে ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা যায়। তবে সঠিক চিকিৎসা হলে এবং জীবনযাত্রায় সামান্য কিছু পরিবর্তন আনতে পারলে আর্থ্রাইটিস নিয়েও হাঁটাচলা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।
শীতের দিনগুলিতে কোন কোন নিয়ম মেনে চলবেন, আর্থ্রাইটিসের রোগীরা?
১) ঠান্ডায় শরীরচর্চা করতে অনীহা জন্মাতে পারে। অনেকে এই সময় ব্যায়াম করতে চান না। তবে হাত-পায়ের অস্থিসন্ধির নমনীয়তা বজায় রাখতে হলে দিনের যে কোনও সময়ে একটু-আধটু ব্যায়াম করতেই হবে।
২) শীত পড়লেই জল খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। শরীরে ফ্লুইডের পরিমাণ কমে গেলে টক্সিন জমতে শুরু করে। আর্থ্রাইটিস বা বাতের ব্যথায় তা খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই জল খাওয়া কমালে চলবে না। জল খেতে ইচ্ছে না করলে গরম জল, ভেষজ চায়ে বারে বারে চুমুক দিতে পারেন।
৩) মিষ্টি, নুন, ক্যাফিন জাতীয় পানীয়, সোডাজাতীয় পানীয়, অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট কিন্তু শরীরে প্রদাহজনিত ব্যথাবেদনা বাড়িয়ে তোলে। যার প্রভাবে আর্থ্রাইটিসের কষ্টও দ্বিগুণ হয়ে যায়। শীতে খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এই সময় ভুলভাল খাবার প্রবণতা বাড়ে, তাই নিজেকে সামলানো জরুরি।
৪) বাতের ব্যথা নিয়ে হাঁটাচলা করতে সমস্যা হয় ঠিকই। তা সত্ত্বেও দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকা যাবে না। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
৫) সারা বছরই ঠান্ডা জলে স্নান করেন। কিন্তু বাতের ব্যথা থাকলে এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। শরীরে প্রদাহ, যন্ত্রণা, ফোলা ভাব বেড়ে যেতে পারে ঠান্ডা জলে স্নান করলে। শীতকালে ঈষদুষ্ণ জলেই স্নান করা ভাল।