Raisin Infused Water

জলে ভেজানো কিশমিশ তো খান, কিন্তু কিশমিশ ভেজানো জল খাওয়ার কত গুণ তা জানা আছে?

নানা রকম ডিটক্স পানীয়, ইলেকট্রোলাইট, তুলনায় দামি ‘ব্ল্যাক ওয়াটার’ খেয়ে জলের ঘাটতি পূরণ করেন অনেকেই। এত খরচ না করে সামান্য কিশমিশ ভেজানো জল খেয়ে কিন্তু অনেক সমস্যা সমাধান করা যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৩ ১৩:৩৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

শুধু জল খেয়ে এই গরমে তেষ্টা মিটছে না। তীব্র গরমে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করার জন্য নানা রকম পানীয় খেয়ে থাকেন অনেকেই। পিছিয়ে নেই বলিউডের তারকারাও। নিয়মিত শরীরচর্চা, চড়া রোদে শুট, তার পর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া— সব মিলিয়ে ত্রাহি অবস্থা। নানা রকম ডিটক্স পানীয়, ইলেকট্রোলাইট, তুলনায় দামি ‘ব্ল্যাক ওয়াটার’— এ সব খেয়ে জলের ঘাটতি পূরণ করেন অনেকেই। তবে মীরা রাজপুত কপূর বলছেন, এত খরচ না করে শুধুমাত্র কিশমিশ ভেজানো জল খেয়েই কিন্তু ‘ডিহাইড্রেশন’-এর সমস্যা মিটিয়ে ফেলা যায়। সমাজমাধ্যম প্রভাবী, দুই সন্তানের মা মীরা রাজপুত কপূর তাঁর শরীরচর্চা, ত্বক এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্যও বেশ পরিচিত। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, বিগত তিন বছর ধরেই নাকি কিশমিশ ভেজানো জল খেয়ে আসছেন তিনি। এই পানীয়ের গুণাগুণ আরও বাড়িয়ে তুলতে কেশরও মিশিয়ে নেন। শরীরে জলের ঘাটতি মেটানোর পাশাপাশি ত্বকের নানা রকম সমস্যা দূর করে। এই পানীয় খেলে আর কী কী হয় জানেন?

Advertisement

১) ডিটক্সিফিকেশন

Advertisement

অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, ঘরে-বাইরে নানা রকম মানসিক চাপ থেকে প্রতিদিন শরীরে টক্সিন জমা হতে থাকে। কিশমিশে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, পলিফেনল এই টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।

২) রক্তাল্পতা দূর করে

শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করে কিশমিশ। মহিলাদের মধ্যে রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা যায় বেশি। পর্যাপ্ত পরিমাণে লোহিত কণিকা তৈরি না হলে, রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা যায়। কিশমিশ ভেজানো জল এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে। স্বাভাবিক ভাবে লোহিত কণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে কিশমিশ।

৩) ইলেক্ট্রলাইটের ভারসাম্য

জল খেলে শরীরে জলের ঘাটতিই পূরণ হয় কেবল। কিন্তু ঘামের মধ্যে দিয়ে যে সব খনিজ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়, তা শুধু জল খেয়ে পূরণ করা সম্ভব নয়। তা পূরণ করতে পারে এই কিশমিশ ভেজানো পানীয়।

কিশমিশের জল তৈরি করবেন কী ভাবে?

১) এক মুঠো কিশমিশ পরিষ্কার জলে ভাল করে ধুয়ে নিন।

২) এ বার একটি পাত্রে ধুয়ে রাখা কিশমিশ সামান্য জল দিয়ে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন।

৩) পরের দিন সকালে ওই জল-সহ কিশমিশ ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।

৪) এ বার ওই মিশ্রণ ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন।

৫) সকালে খালি পেটে বা কিছু ক্ষণ ফ্রিজে রেখে এই জল খেতে পারেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন