হাঁপানির টানে কষ্ট পাবেন না, নিয়ম করে করুন এই যোগাসন। চিত্রাঙ্কন: শৌভিক দেবনাথ।
হাঁপানিতে বড় কষ্ট। যাঁদের আছে, তাঁরাই বোঝেন। সঙ্গে কাশি, বুকে ব্যথা আর বিনিদ্র রাত্রিযাপন। কলকাতায় বাড়তে থাকা দূষণে অনেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। হাঁপানিতে আক্রান্ত মানুষের কষ্ট বাড়ছে আরও বেশি। অনেকেই ভাবেন হাঁপানি থাকলে কোনও ব্যায়াম করা যাবে না। তবে শারীরিক কসরত করলে হাঁপানির টান কম হবে। তবে নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম আছে যা হাঁপানির রোগীদের জন্য ভাল। তার মধ্যে যোগাসনের এমন এক পদ্ধতি আছে, যা হাঁপানি বা সিওপিডির মতো সমস্যাগুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
ফুসফুসে বাতাস বহনকারী সরু সরু টিউবের মতো অজস্র নালি আছে। অ্যালার্জি ও অন্যান্য কারণে সূক্ষ্ম শ্বাসনালিগুলির মাংসপেশি সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। ঠিকমতো বাতাস চলাচল করতে পারে না। শরীর প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পায় না। আর এর ফলে নিঃশ্বাসের কষ্ট-সহ নানা শারীরিক সমস্যা শুরু হয়। ফুসফুসের জোর যদি বাড়াতে হয়, তা হলে রোজ অভ্যাস করতে হবে বামদেবাসন।
কী ভাবে করবেন বামদেবাসন?
১) ম্যাটের উপর পদ্মাসনে বসুন।
২) এর পর শরীরকে এক দিকে বাঁকিয়ে, ডান হাত দিয়ে ডান পায়ের পাতা ধরুন।
৩) বাম হাতটি মাথার উপর দিয়ে নিয়ে গিয়ে বাম পায়ের পাতা ধরুন।
৪) বিপরীত দিকেও একই পদ্ধতিতে আসনটি করুন।
উপকারিতা
ফুসফুসের জোর বাড়বে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে তা কমবে।
হাঁপানি রোগীদের জন্য খুবই ভাল এই আসন। নিয়ম করে অভ্যাস করলে হাঁপানির টান কমবে।
হাত ও পায়ের পেশির জোর বাড়বে। কাফ মাসলেরও ব্যায়াম হয় এই আসন অভ্যাস করলে।
মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখে, মনঃসংযোগ বৃদ্ধি পাবে এই আসন অভ্যাস করলে।
কারা করবেন না?
কাঁধ, কব্জি বা পিঠে গুরুতর আঘাত থাকলে আসনটি করা যাবে না।
উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা আসনটি অভ্যাস করবেন না।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আসনটি করা যাবে না।
হার্টের অসুখ থাকলে বা অস্ত্রোপচার হলে প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া আসনটি না করাই ভাল।