কোন পানীয় এবং খাবার খেলে দিনভর রোদে ঘুরলেও জলের ঘাটতি হবে না? ছবি: সংগৃহীত।
বৃষ্টির ভ্রূকুটি থাক বা রোদের চোখ রাঙানি—দুর্গাপুজোয় মণ্ডপে ভিড় হবেই। বছরে মাত্র এই কয়েকটি দিনের প্রতীক্ষাই তো থাকে সকলের। কলকাতা শহরের নানা প্রান্তে অজস্র মণ্ডপ তৈরি হয়। সংখ্যায় তা এতটাই বেশি যে, চার দিন ঘুরেও দেখা শেষ করা যায় না।
কিন্তু গরম, ভিড়ে ঠাকুর দেখতে গেলে, ঠেলাঠেলিতে দরদরিয়ে ঘাম হবেই। দিনভর রোদে ঘোরাঘুরির ফলে শরীরে দেখা দিতে পারে জলের অভাব। তেষ্টা মেটাতে হাতের কাছে জল না পেলে, অনেকেই কার্বোনেটেড পানীয়ে চুমুক দেন। তবে এতে কিন্তু জলের অভাব মেটে না। উল্টে পানীয়ে থাকা চিনি শরীরের ক্ষতি করে। ঠাকুর দেখার পাশাপাশি সুস্থ থাকতে শরীরে জলের জোগান জরুরি। তবে যে কোনও পানীয়ে নয়। রাস্তাঘাটে কোন পানীয়ে চুমুক দিতে পারেন?
১। গরমে ঘেমে গেলে মন চায় বরফ দেওয়া শরবত খেতে। তবে রাস্তার রংবাহারি শরবত কিন্তু মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। বদলে বেছে নিতে পারেন টাটকা কোনও ফলের রস। পরিচ্ছন্ন জায়গায় সেটি তৈরি করা হচ্ছে কি না দেখে নিন। মুসম্বি, তরমুজ, আনারস— যে কোনও রসেই শরীরে জলের ঘাটতি মিটবে। শর্করা দ্রুত ক্লান্তি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।
২। লস্যি বা ঘোল জাতীয় পানীয় বেছে নিতে পারেন। দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক পেট ভাল রাখতে সাহায্য করবে। তবে পরিষ্কার জায়গা থেকে তা কিনতে হবে। অপরিচ্ছন্ন জায়গা থেকে লস্যি বা ঘোল খেলে পেটে সংক্রমণ হওয়ার ভয় থাকতে পারে।
৩। গরমে ঘেমেনেয়ে গলা ভিজিয়ে নিতে পারেন ডাবের জলে। এটি সবচেয়ে ভাল উপায়। ডাবের জলে থাকে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ । ক্লান্ত শরীরকে চাঙ্গা করতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ডাবের জল। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও ডাবের জল খুব উপকারী।
৪। রেস্তরাঁয় খেতে গিয়ে মেনুতে রাখুন পছন্দের স্যুপ। স্যুপ শরীরে জলের ঘাটতি মেটাবে। সব্জি অথবা মাংস দিয়ে তৈরি স্যুপ প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিন-খনিজেরও জোগান দেবে।
৫। বাড়ি ফিরে বা বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে ভেষজ চায়ে চুমুক দিতে পারেন। এতে চা পাতা থাকে না। তবে আদা, পুদিনা, পাতিলেবু— নানা রকম উপাদান যোগে ভেষজ চা বানানো যায়। চা খেলেও শরীরে কিছুটা জল যাবে।
তবে রাস্তার ধারের শরবত বা কার্বনযুক্ত পানীয় যতই তেষ্টা মেটাক না কেন, তা শরীরের জন্য ভাল নয়। সবসময় সঙ্গে জল রাখা দরকার। যাতে দিনভর একটু একটু করে জল খাওয়া যায়।