Bangalore

‘খুন’-এর আগে ছেলেকে বোতল বোতল কাফ সিরাপ খাইয়েছিলেন সূচনা! সিরাপের ‘ওভারডোজ়’ কতটা ভয়ঙ্কর?

প্রয়োজনের বেশি সিরাপ খেলে তার ফল মারাত্মক হতে পারে। কী কী ঝুঁকি থাকে সিরাপের ‘ওভারডোজ়’ হলে?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:২৩
Share:

বেশি সিরাপ খেলে কী ক্ষতি হয় জানেন? —ফাইল চিত্র।

গোয়ার সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্টে নিজের চার বছরের পুত্রকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপের সিইও সূচনা শেঠের বিরুদ্ধে। তদন্তের অগ্রগতিতে প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের অনুমান, সন্তানকে খুন করার পরিকল্পনা অনেক দিন আগেই করেছিলেন সূচনা। তাঁর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে যে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তা সে দিকেই ইঙ্গিত করছে। গোয়া পুলিশ জানিয়েছে, ওই অ্যাপার্টমেন্ট থেকে মিলেছে কাফ সিরাপের (কাশির ওষুধ) একাধিক খালি শিশি। পুলিশের অনুমান, সন্তানকে প্রচুর পরিমাণে ওষুধ খাওয়াতেন সূচনা। কাফ সিরাপের ‘ওভারডো়জ’ কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে?

Advertisement

শীতকালে ঠান্ডা লাগা, নিরন্তর হয়ে চলা খুশখুশে কাশির হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই ভরসা রাখেন সিরাপের উপর। সারা দিনে ২-৩ ঢাকনা গলায় ঢাললেই স্বস্তি পাওয়া যায় বলে প্রচলিত ধারণা। ঠান্ডা লাগলে গলায় একটা অস্বস্তিও হয়। সিরাপ সমস্ত অস্বস্তি দূর করে।

কফ জমা হয়ে কাশি হয় বেশি। কফ বার করে দিলে ফুসফুস এবং শ্বাসনালী পরিষ্কার হয়ে যায়। তখন কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা খানিকটা কমে। আসলে কফ জমে থাকার ফলে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। এ ছাড়া ক্রমাগত কাশি হলে ক্লান্ত হয়ে পড়ে শরীর। ঘন ঘন কাশির কারণে গলাব্যথা হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে একটানা কাশির ফলে ফুসফুস এবং বুকের পেশিতে চাপ পড়ে। এই সমস্ত সমস্যার নিমেষে অবসান ঘটায় কাশির সিরাপ।

Advertisement

তবে বেশির ভাগ কাশির সিরাপে রয়েছে ‘ডেক্সট্রোমেথরফান’ অর্থাৎ ‘ডিএক্সএম’। যা মস্তিষ্কের বিশেষ একটি অংশ নিয়ন্ত্রণে এনে কাশি কমাতে সাহায্য করে। তবে এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে দৈনিক কতটা ডিএক্সএম যেতে পারে, তার একটা নির্দিষ্ট মাপ আছে। ১৮ বছরের উর্ধ্বে দিনে ১৫-২০ মিলিগ্রামের বেশি সিরাপ খাওয়া ঠিক নয়। শিশুদের ক্ষেত্রে সেটা আরও কম।

এই বিষয়টি অনেকেরই জানা নেই। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, প্রয়োজনের বেশি সিরাপ খেলে তার ফল মারাত্মক হতে পারে। সুস্থ হওয়ার বদলে হিতে বিপরীত হতে পারে। মাথার মধ্যে ঝিমঝিম, মানসিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়ে যায় অনেক সময় এর ফলে। তবে শেষ নয় এখানেই।

বেশি পরিমাণে কাশির সিরাপ খেলে খিঁচুনি ওঠার ঝুঁকি থাকে। যা অনেক সময় অনেক বিপদ ডেকে আনতে পারে। এ ছাড়াও হৃদ্‌স্পন্দনের হার বেড়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, পেটে ব্যথা, অস্থির বোধ হওয়া, ত্বকে লাল লাল র‌্যাশ, অ্যালার্জি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে। চিকিৎসকেরা সতর্ক করেছেন, সিরাপে থাকে ডিএক্সএম ৬০ মিলিগ্রাম বা তার বেশি মাত্রায় রক্তে মিশলেই কোমায় চলে যাওয়া এমনকি মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন