সন্তান জন্ম দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যেক দম্পতির কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ছবি: সংগৃহীত
সন্তান জন্ম দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যেক দম্পতির কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার করে জেনে নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে স্ত্রীরোগ চিকিৎসকের সঙ্গে এই বিষয়ে একটি সঠিক পরিকল্পনা করে নেওয়া দরকার। একটি সুস্থ সবল সন্তানের জন্ম দিতে, বিশেষ কয়েকটি বিষয়ে পরামর্শ নিন চিকিৎসকের থেকে।
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সঠিক সময় কোনটি?
কখন সন্তানধারণ করতে চান তা সম্পূর্ণ দু’জনের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কিন্তু কোনও রকম শারীরিক জটিলতা এড়াতে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়াই শ্রেয়।
জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কখন বন্ধ করা উচিত?
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার জন্যে প্রথমেই জন্মনিয়ন্ত্রণকারী পদ্ধতিগুলি বন্ধ করতে হবে। গর্ভনিরোধক বড়ি গ্রহণ বন্ধ করে দিলে ধীরে ধীরে ডিম্বস্ফোটন চক্রের পরিবর্তন হতে থাকবে। তবে সেই বদল হতে দু’-তিন মাস সময় লাগাটা স্বাভাবিক।
ছবি: সংগৃহীত
শারীরিক অসুস্থতা কি গর্ভধারণে প্রভাব ফেলতে পারে?
পিসিওস, থাইরয়েড, যৌনরোগের মতোকিছু অসুস্থতা গর্ভধারণে প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে চিকিৎসকের সঙ্গে এই বিষয়ে ভাল করে আলোচনা করে নেওয়া দরকার।
উচ্চরক্তচাপের ওষুধ কি গর্ভধারণে প্রভাব ফেলতে পারে?
মৃগী রোগ বা উচ্চরক্তচাপের নিয়মিত খেলে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরিকল্পনার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে এই বিষয়ে অতি অবশ্যই কথা বলে নেওয়া প্রয়োজন।
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আগে জিনগত পরীক্ষা কি বাঞ্ছনীয়?
পরিবারে ডায়াবিটিস, থ্যালাসেমিয়া ইত্যাদি রোগের ইতিহাস থাকলে সন্তান জন্ম দেওয়ারপূর্বে অবশ্যই হবু বাবা এবং মা দু’জনেরই পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। তবে এই বিষয়ে চিকিৎসকের মতামতই চূড়ান্ত।