ছবি : সংগৃহীত।
সর্দি-কাশি-জ্বর ভাবে ঝিমিয়ে পড়ছেন। তবু দিন-রাতের রুটিনে ফাঁকি থাকছে না কোনও। আর এই নিরন্তর যুদ্ধে সহায় হচ্ছে আদা চা। এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই যে শীত কালে আদা চা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। তবে তা কখন খেলে উপকার বেশি হবে?
এক পুষ্টিবিদ এর জবাব দিয়েছেন। দিল্লির ওই পুষ্টিবিদের নাম ডিম্বল জাংরা। শীতে আদা চা পানের পরামর্শ দিয়ে তার উপকারিতাও জানিয়েছেন তিনি।
১। আদা প্রাচীনকাল থেকেই ঠান্ডা-কাশির ঘরোয়া ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি গলা ব্যথা, কফ, এবং নাক বন্ধের মতো সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
২। আদয় থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৩। আদা চা হজম শক্তি উন্নত করে। গ্যাস, পেট ফাঁপা, বদহজম এবং পেট ব্যথা কমাতে খুবই কার্যকর। ভারী খাবারের পরও এই চা পান করলে আরাম পাওয়া যায়।
৪। আদায় রয়েছে জিঞ্জেরল যা প্রদাহ কমায়। ফলে পেশি ও হাড়ের ব্যথা এমনকি, মাইগ্রেনের মতো ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে।
৫। আদা চা শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, যা শীতেও উষ্ণ রাখে শরীর এবং হার্টকে সচল রাখে। ধমনীতে চর্বি বা কোলেস্টেরল জমতে দেয় না।
৬। বুকে কফ জমে বা ঠান্ডা লেগে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হলে আদা চা প্রাকৃতিক ওষুধের মতো কাজ করে। এটি ফুসফুসের বায়ু চলাচল পথকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে।
কখন আদা চা খাওয়া সব থেকে ভাল?
আদা চা পান করার জন্য দিনের শুরু অর্থাৎ সকাল বেলাই সবচেয়ে ভালো সময় বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদ। তিনি বলছেন—
১। সকালে খালি পেটে বা জলখাবারের আগে এক কাপ আদা চা পান করলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়, বিপাক হার বাড়ে এবং সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে শরীর চনমনে হয়। এটি হজমের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে সাহায্য করে।
২। তবে, অনেকেই রাতে শোবার আগে আদা চাপান করতে পছন্দ করেন। কারণ এটি ঘুমের উন্নতি ঘটায়। শরীরকে শান্ত করে এবং ভালো ঘুম হতে সাহায্য করতে পারে।
৩। যদি রাতে ভারী খাবার খাওয়া হয়, তবে শোবার আগে এই চা পান করলে হজমের অস্বস্তি দূর হতে পারে।
৪। যদি অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে, তবে খালি পেটে না খেয়ে হালকা কিছু খাওয়ার পর আদা চা পান করা উচিত।
৫। তবে রক্ত পাতলা করার ওষুধ বা অন্য কোনও গুরুতর শারীরিক সমস্যা থাকলে আদা চা পান করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।