কোন সব্জি খেলে অম্বলের সমস্যা বাড়ে? ছবি: সংগৃহীত।
মাছের পাতলা ঝোল হোক বা ফুলকপির ডালনা, আচার হোক বা চাটনি— রান্নায় বেশ খানিকটা টম্যাটো না দিলে তেমন স্বাদ আসে না। আবার চাটনি হোক বা স্যালাড, টম্যাটো কিন্তু চাই-ই চাই। সন্ধ্যাবেলা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় মুখরোচক ভাজাভুজির সঙ্গে টম্যাটো সসের যুগলবন্দি না হলে খাবারটা কেমন যেন পানসে লাগে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর টম্যাটোর অনেক গুণ। কিন্তু জানেন কি, অতিরিক্ত পরিমাণে টম্যাটো কারও কারও ক্ষেত্রে বিপদও ডেকে আনতে পারে?
অতিরিক্ত টম্যাটো খেলে কাদের ক্ষতি হতে পারে?
১) টম্যাটোয় রয়েছে ম্যালিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড, যা পাকস্থলীতে অম্লের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। তাই বেশি টম্যাটো খেলে গলা-বুক জ্বালা করতে পারে। এমনকি, হজমে সহায়ক উৎসেচকগুলির ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
২) অতিরিক্ত পরিমাণে টম্যাটো খেলে বেড়ে যেতে পারে অস্থিসন্ধির ব্যথা। কারণ, টম্যাটোয় রয়েছে ‘সোলানাইন’ নামক যৌগ। যা শরীরে বিভিন্ন অস্থিসন্ধির ব্যথা বাড়িয়ে তোলে। যাঁদের ইউরিক অ্যাসিড বেশি, তাঁদের টম্যাটো না খাওয়াই ভাল।
৩) টম্যাটোতে আছে হিস্টামিন নামক একটি যৌগ। যা ত্বকে র্যাশ বা অ্যালার্জির সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। মুখ, গলা, জিভে সংক্রমণ হতে পারে। তবে সকলের ক্ষেত্রে এই সমস্যা হয় না।
৪) যাঁদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের রক্তে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রা একটু বেশিই থাকে। তার উপর রান্নায় অতিরিক্ত পরিমাণে টম্যাটো দিলে বা টম্যাটোজাত জিনিস খেলে পটাশিয়ামের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
৫) অতিরিক্ত টম্যাটো খেলে রক্তে ‘লাইকোপিন’ নামক যৌগের মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। ফলে ফ্যাকাশে হয়ে যায় ত্বকের রং। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘লাইকোপেনোডার্মা’। যদিও বিশেষ এই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টটি বেশি মাত্রায় থাকলে গুরুতর কোনও সমস্যা হয় না।