Anti-Aging Facial Side Effect

সালোঁয় ফেসিয়াল করাতে গিয়ে বিপত্তি! ‘এইচআইভি’ আক্রান্ত হয়ে বাড়ি ফিরলেন তরুণী

কেবলমাত্র মানুষের রক্তে ও অন্যান্য দেহরসে বেঁচে থাকতে পারে এবং কোনও সুস্থ মানুষ আক্রান্তের রক্ত বা বীর্যের মতো দেহরসের সংস্পর্শে এলে তাঁর দেহের মধ্যে ভাইরাসটি সংক্রমিত হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৩২
Share:

ফেসিয়াল করিয়ে ‘এইচআইভি’ আক্রান্ত তরুণী। ছবি: সংগৃহীত।

‘এডস’ রোগটি ছোঁয়াচে নয়। তা সত্ত্বেও এ রোগ নিয়ে সমাজের সব স্তরে সকলের মধ্যেই ছুতমার্গ রয়েছে। এই রোগের জন্য দায়ী ‘এইচআইভি’ বা ‘হিউম্যান ইমিউনো ডেফিশিয়েন্সি ভাইরাস’ নামক এক ধরনের রেট্রোভাইরাস। যা কেবলমাত্র মানুষের রক্তে ও অন্যান্য দেহরসে বেঁচে থাকতে পারে এবং কোনও সুস্থ মানুষ আক্রান্তের রক্ত বা বীর্যের মতো দেহরসের সংস্পর্শে এলে তার দেহের মধ্যে ভাইরাসটি সংক্রমিত হয়। সম্প্রতি সালোঁয় ফেসিয়াল করাতে গিয়ে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মেক্সিকোর এক তরুণী। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সঠিক চিকিৎসা না হলে ‘এডস’ অবধারিত। এখনও পর্যন্ত যে রোগের সঠিক কোনও চিকিৎসা নেই।

Advertisement

জানা গিয়েছে, ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে, বলিরেখার সমস্যা দূর করতে ‘ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল’ করাতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। তা ছাড়া যে সালোঁয় ওই তরুণী ফেসিয়াল করাতে গিয়েছিলেন তাদের বৈধ কোনও শংসাপত্র ছিল না। আমেরিকার হেল্‌থ এজেন্সি, সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এই ধরনের অবৈধ চিকিৎসাকেন্দ্র, স্পা, সালোঁ সম্পর্কে বহু বার সতর্ক করেছে।

ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল ঠিক কী?

Advertisement

বয়স হলে ত্বকে তার ছাপ পড়বেই। পুষ্টিকর খাবার, নামীদামি প্রসাধনী ব্যবহার করেও অনেক সময়ে আশানুরূপ ফল না পেলে আজকাল এই ধরনের চিকিৎসার শরণ নেন মহিলারা। বলিরেখা, ওপেন পোর্‌স, ব্রণ কিংবা মেচেতার দাগ— সবই দূর করা যায় এই ফেসিয়ালের সাহায্যে।

এই ফেসিয়াল কী ভাবে করে?

যে ব্যক্তি এই ফেসিয়াল করাতে চান, প্রথমে তাঁর শরীর থেকে বেশ খানিকটা রক্ত সংগ্রহ করতে হয়। তার পর সেখান থেকে প্লাজ়মা আলাদা করে ত্বকের উপরের স্তরে সেই তরল ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয়। যার ফলে নতুন কোষ তৈরি হয় তাড়াতাড়ি। পুরনো ক্ষত সারাতে ত্বকের নিজস্ব প্রোটিন অর্থাৎ কোলাজেন উৎপাদন বেড়ে যায়। যে হেতু গোটা পদ্ধতিটি ‘লোকাল অ্যানাসন্থেসিয়া’ দিয়ে ‘মাইক্রোনিড্‌ল’ পদ্ধতিতে করানো হয়, তাই ত্বকে বিশেষ ব্যথা অনুভূত হয় না। কিন্তু এই ফেসিয়ালে সুচের ব্যবহার রয়েছে। তাই পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সতর্ক না হলে ‘এড্‌স’-এর মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন