মহাদেবের পূজা অর্চনা মানেই ওঁর অভিষেক করা, কারণ বিনা অভিষেকে ওঁর পূজা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। সে কারণে সারা বছরই ওঁর অভিষেক করা শুভ। তবে বছরের বিশেষ কিছু দিনে ওঁর অভিষেক করা অত্যন্ত শুভ এবং বিশেষ ফলদায়ক। পূর্ণিমা বা অমাবস্যাযুক্ত সোমবারে ওঁর অভিষেক করা অত্যন্ত শুভ। বিশেষত অমাবস্যাযুক্ত সোমবার, যাকে সোমবর্তী অমাবস্যা বলা হয় সে দিন ওঁর অভিষেক করা অত্যন্ত শুভ ও বিশেষ ফলপ্রদ। এ ছাড়াও শ্রাবণ মাসের প্রতিটি সোমবার এবং পুরো শ্রাবণ মাস ধরে মহাদেবের অভিষেক করা বিশেষ শুভ ও ফলদায়ক। প্রতি সোমবার না পারলেও প্রথম ও শেষ সোমবার ওঁর অভিষেক বিশেষ ফলপ্রদ।
এখন দেখে নেওয়া যাক কোন অভিষেকে কী কী ফল লাভ হয়—
১। নিখুঁত ১৫টি বেলপাতা বেটে তার সঙ্গে গঙ্গাজল বা কলের জল মিশিয়ে অভিষেক করলে ত্রিলোকপ্রাপ্তি হয়।
২। গঙ্গাজল বা কলের জলে কুশ ফেলে অভিষেক করলে মোক্ষ প্রাপ্তি হয়।
৩। গঙ্গাজল বা কলের জলে ৫টি নাগকেশর, ৫টি হলুদ রঙের ফুল ফেলে অভিষক করলে ব্যবসায় বৃদ্ধি ঘটে।
৪। সিদ্ধি বেটে কাঁচা দুধে গুলে তা দিয়ে অভিষেক করলে মনের অস্থিরতা এবং অজ্ঞাত ভয় দূর হয়, মানসিক শান্তি লাভ হয়।
৫। রূপার পাত্রে পঞ্চামৃত অর্থাৎ দুধ, দই, ঘি, মধু, চিনি মিশিয়ে অভিষেক করলে ধন সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়।
৬। সাতটি বেলপাতা শিবলিঙ্গে স্থাপন করে তার ওপর একটি বেলফল অর্পণ করে গঙ্গাজলে বা কলের জলে সামান্য ঘি মিশিয়ে অভিষেক করলে হঠাৎ মুশকিলে পড়ে গেলে তা থেকে উদ্ধার পাওয়া যায়।
৭। একটি বেলপাতা, ৫টি পানপাতা, ১১টি গোটা সুপারি শিবলিঙ্গে অর্পণ করে তার উপর গঙ্গাজল বা কলের জলে মধু মিশিয়ে অভিষেক করলে ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে সাফল্য লাভ হয়।
৮। শিবলিঙ্গে মুক্তোর মালা পরিয়ে রূপার পাত্রে কাঁচা দুধ নিয়ে অভিষেক করলে অবিবাহিত মেয়েদের শ্রীঘ্র বিবাহ হয়। বিবাহিতা মহিলাদের সাংসারিক সুখ লাভ হয় ও স্বামীরাও সুখ লাভ করে।
৯। ১০৮টি বেলপাতা নিয়ে তাতে চন্দন দিয়ে ‘শ্রীং হ্রীং শ্রীং’ লিখে শিবলিঙ্গে অর্পণ করে গঙ্গাজল বা কলের জল দিয়ে অভিষেক করলে আকস্মিক ধন প্রাপ্তি এবং প্রভূত লাভ প্রাপ্তি হয়।
১০। গঙ্গা বা কলের জলে একমুঠি গম দিয়ে অভিষেক করলে বংশ বৃদ্ধি হয়।