লতা মঙ্গেশকর।
কয়েক দশক ধরে বাংলা ও হিন্দি গানের শ্রেষ্ঠ আসন দখল করে আছেন এই প্রবাদপ্রতীম শিল্পী।
জ্যোতিষের বিচারে, আসুন, দেখে নেওয়া যাক লতার জন্মকুণ্ডলীর বৈশিষ্ট্যগুলো—
লতা মঙ্গেশকরের জন্মকুণ্ডলী বুধের দশায় লতার জন্ম হয়েছিল। ওঁর জন্মের পরই ওঁর পরিবারের শ্রীবৃদ্ধি হয়। পিতার কর্মক্ষেত্র বিস্তার লাভ করে এবং পিতারও পদোন্নতি ঘটে। লতার জন্মই গৃহে সৌভাগ্য বহন করে এনেছিল, এই বিশ্বাসে গৃহে তাঁকে ‘লক্ষী’ নামে ডাকা হত। চার ভাইবোনের মধ্যে তিনিই জ্যেষ্ঠা। কুণ্ডলীতে বাণীকারক বুধ উচ্চস্থ অবস্থায় পঞ্চম ভাবে রবির সঙ্গে বিরাজ করছে। বুধের উপর বৃহস্পতির পূর্ণ প্রভাব মানুষকে বাণী প্রদান করে। লগ্নপতি শুক্র কেন্দ্রে অবস্থান করে দশম ভাবকে পূর্ণ প্রভাবিত করছে। উক্ত যোগটিই মানুষকে চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে সম্বন্ধ স্থাপন করায় গায়িকা রূপে লতার ক্ষেত্রে যা ঘটেছে। লতার কুণ্ডলীতে লগ্ন, চন্দ্র এবং রবি- এই ত্রয়ীই সম রাশিতে অবস্থিত। লতার জন্ম রাত্র ভাগে হয়েছিল।
জ্যোতিষ মতে যা স্ত্রী জাতিকাদের মহাসৌভাগ্য দান করে। উচ্চস্থ বর্গোতম দ্বিতীয় পতি এবং পঞ্চম পতি বুধের কারণে লতাজী সুমধুর কন্ঠের অধিকারিণী হয়ছেন এবং শৈশব থেকেই সাঙ্গীতিক সংস্কারের মধ্যে বর্ধিত হতে পেরেছেন। কুণ্ডলীর দ্বিতীয়পতি ও পঞ্চমপতি বুধের সঙ্গে রবির সংযোগ রাজযোগকারক। দ্বিতীয়ত এই যোগ ভাগ্য পতি ও কর্ম পতি শনি এবং অষ্টম পতি ও লাভ পতি বৃহস্পতি দ্বারা দৃষ্ট। জন্মকুণ্ডলীর এ এক আশ্চর্যজনক বলশালী সমন্বয় যা অত্যন্ত কম মানুষের জীবনেই পরিলক্ষিত হয়। এর ফলে লতা সঙ্গীত ক্ষেত্রে যেমন অভূতপূর্ব সাফল্য লাভ করেছেন। সেই সঙ্গে অপার ধন সম্পত্তিরও অধিকারিণী হয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে লক্ষ্যণীয় যে চন্দ্র-কেতুর দশায় লতার সঙ্গীত জগতে যে সাফল্য লাভের সূচনা হয়েছিল তা আজও তাঁর জীবনে বর্তমান। এর ফলে লতা স্বীয় দশার পশ্চাদপর প্রভাবে সঙ্গীত জগতে একের পর এক সাফল্য লাভ করে সঙ্গীত জগতের শীর্ষ স্থান অধিকার করে আছেন। খ্যাতি-অর্থ-প্রতিপত্তির সঙ্গে ভারত সরকার প্রদত্ত সমস্ত শীর্ষস্থানীয় সম্মান বা পুরস্কারও লতার দখলে। গিনেস বুক অব রেকর্ডেও আজ দীপ্তিদান করছে সঙ্গীত সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের নাম।