বহুতল ফ্ল্যাট বাড়ি নিয়ম মেনে নির্মাণ করুন

জমিতেও টান পড়েছে। এই সঙ্গে লিফটের সুযোগ-সুবিধা মানুষকে বহুতল বাড়ির প্রতি আর্কষন বাড়িয়ে দিয়েছে। তা ছাড়া দূষণের বিষয়টিও আছে।

Advertisement

পার্থ প্রতিম আচার্য্য

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০০:০৩
Share:

গৃহের অভিলাস মানুষের চিরকালীন। আগেকার দিনে সাধারণত নিজের ব্যক্তিগত পৃথক বাড়ি বা বাংলো বাড়ি করার ঝোঁক ছিল বেশি। কিন্তু এখন পরিস্থিতি একেবারে বদলে গিয়েছে। এখন আড়াআড়ি বাড়ির চেয়ে উঁচু খাড়া বাড়ি বেশি পছন্দের কারণ আড়াআড়ি বাড়ি তৈরি অনেক ব্যয় সাপেক্ষ। জমিতেও টান পড়েছে। এই সঙ্গে লিফটের সুযোগ-সুবিধা মানুষকে বহুতল বাড়ির প্রতি আর্কষন বাড়িয়ে দিয়েছে। তা ছাড়া দূষণের বিষয়টিও আছে। যত উঁচুতে মানুষ থাকবে দূষণ তাকে স্পর্শ করবে তত কম। এটাও বহুতল বাড়ির আর এক আর্কষণ।

Advertisement

বহুতল বিশিষ্ঠ ফ্ল্যাটবাড়ি নির্মাণে বাস্তুশাস্ত্রের সিদ্ধান্ত কী ভাবে পালন করা সম্ভবঃ---
১। বহুতলের ভূমিতল জমির স্তর থেকে কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ ফুট উঁচু করা ভাল।
২। বহুতল ফ্ল্যাটের অ্যাক্রিলিক রং, সিন্থেটিক ভিনাইল ফ্লোরিং ব্যবহার পরিহার করা ভাল। এগুলি ঋণাত্মক বস্তু। এগুলি মানবদেহের পক্ষে ক্ষতিকারক।
৩। প্রাকৃতিক বস্তু ব্যবহার শুভদায়ক ও স্বাস্থ্যকর।সিন্থেটিক রঙের থেকে চুনকাম বা ডিসটেম্পার ব্যবহার করা ভাল। এগুলি বাতাসকে শোষন করে প্ররিশ্রুত করতে সক্ষম।
৪। বহুতলের ফ্ল্যাটের মুল কাঠামো অপরিবর্তিত রেখে শুধু মাত্র ধনাত্বক বস্তু সকল- পিতল, ক্রিস্টাল, চিনেমাটি, সেরামিক, পাথর, সুরকি, কাঠ, ইত্যাদির ব্যবহার বাড়ালে ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি হবে।
৫। যত বেশি উপরে ওঠা যায় ঋণাত্বক বিকিরণের হার দ্রুত কমতে থাকে। আর চার- পাঁচ তলার পর তা প্রায় থাকে না বললেই চলে।
৬। ফ্ল্যাটের পূর্ব দিকে স্নানাগার বা বাথরুম তৈরি করা উচিত। উত্তর-পূর্ব অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে কখনই শৌচাগার করা উচিত নয়।
৭। বাথরুম বা শৌচাগার কখনওই যেন রান্নাঘর বা খাওয়ার জায়গার বিপরীত দিকে না হয়। বাথরুম বা শৌচাগার থেকে খাওয়ার জায়গা যেন সরাসরি দেখা না যায়।
৮। শৌচাগার বা বাথরুম, রান্নাঘর ও পুজোর ঘর যেন এক দেওয়াল সংলগ্ন না হয় এবং মুখোমুখিও যেন না হয়।
৯। টয়লেটে কমোড এমন ভাবে বসাতে হবে যাতে কমোড ব্যবহারকারীর মুখ দক্ষিণ দিকে হয়। দক্ষিণ সম্ভব না হলে উত্তর করা যেতে পারে কিন্তু পূর্ব বা পশ্চিমে যেন কিছুতেই না হয়।
১০। মালিকানাযুক্ত ফ্ল্যাটে উত্তর-পূর্ব দিকে ঠাকুরঘর করা সম্ভব না হলে সেই সব ফ্ল্যাটে ব্রহ্মস্থানে ছোট করে ঠাকুরঘর তৈরি করা যেতে পারে। সম্ভব না হলে যে কোনও ঘরের উত্তর-পূর্ব দিকে ঠাকুরের আসন বসানো চলবে।
১১। ঠাকুরঘর করা অবশ্য উচিত বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে। এই দিকটি জ্যোতিষ মতে বৃহস্পতির স্থান। বৈজ্ঞানিক মতে এই দিক ধনাত্মক শক্তির প্রাচুর্যে ভরা।
১২। ছোটপাখি, শৌখিন পাখি রাখা যেতে পারে বাড়ি বা ঘরের উত্তর-পশ্চিমে।
১৩। রঙিন মাছ রাখা চলবে বারান্দা বা ঘরের উত্তর-পূর্ব দিকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন