জ্যোতিষশাস্ত্র মতে বৈবাহিক জীবনে পর্যাপ্ত যৌন সুখ লাভের নির্দিষ্ট কিছু পথ আছে।
মানব জীবনে দশটি সংস্কারের অন্যতম সংস্কার হল বিবাহ। “যৌবন” এই তিনটি অক্ষরের মধ্যে নিহিত আছে এর অর্থ। যৌবন নামক শব্দটির “ব” বর্ণটি কাটলে হয় যৌন। বিবাহিত জীবনের তৃপ্তি ও অতৃপ্তির সঙ্গে জুড়ে আছে এই যৌন-ক্রিয়া। আজকাল প্রধান কারণ গুলির মধ্যে অন্যতম দাম্পত্য জীবনে যৌন সমস্যা। তবে জ্যোতিষশাস্ত্র মতে বৈবাহিক জীবনে পর্যাপ্ত যৌন সুখ লাভের নির্দিষ্ট কিছু পথ আছে।
এখন জেনে নেওয়া যাক বিভিন্ন গ্রহ কীভাবে যৌন-ক্রিয়ার সময় মিলিত ভাবে কাজ করে -
শুক্র প্রতিটি জাতক জাতিকার মধ্যে সেক্সুয়াল অর্থাৎ যৌন আবেগের প্রভাব ঘটায়। যার প্রভাবেই নর-নারী উভয়ে উভয়ের প্রতি আকৃষ্ট হয়। চন্দ্রের কাজ হল এই যৌন আবেগকে আরও মধুর মিলনে সহযোগিতা করা। বুধ সঙ্গে সঙ্গে প্রদান করে বালক সুলভ যৌন পরিতৃপ্তি না পাবার চঞ্চলতা ও সবল স্নায়ু। রবি প্রদান করে শরীরের যৌন উষ্ণতা। রাহু দেয় ভোগ করার স্পৃহা, মঙ্গল শারীরিক কসরত। রবি ও শুক্র যৌথভাবে প্রদান করে বীর্য। আর শনি প্রদান করে সর্বশেষে যৌন-ক্রিয়ার বিতৃষ্ণা। সপ্তম স্থানে যদি শুক্র, রাহু, মঙ্গল একত্রে অবস্থান করে তবে বিকৃত যৌন ভাবের জন্ম দেয়। সপ্তম-স্থানে শনি নীচস্থ বুধ বক্রী ও মঙ্গল অবস্থান করলে যৌনাঙ্গের ত্রুটি নির্দেশ করে।(যার ফলে জাতক ধর্ষক অবধি হতে পারে)।
যাদের স্নায়ুবিক দুর্বলতার দরুন যৌন সমস্যা দেখা দিচ্ছে তারা বিলম্ব না করে জ্যোতিষীর পরামর্শ মতো পান্না বা বৈদূর্যমণি ধারণ করুন। যৌন সমস্যার জন্য হিরে, পান্না, মুক্ত ধারণ করতে পারেন। অবশ্যই মনে রাখবেন সাধারণ জ্ঞানের দ্বারা নিজের চিকিৎসা নিজে করবেন না। জ্যোতিষীর পরামর্শ নিন।