জ্যোতিষ শাস্ত্রে নবগ্রহের মধ্যে শুভ গ্রহ মাত্র দুটো। একটি বৃহস্পতি অপরটি শুক্র। একজন দেবগুরু, অপরজন দৈত্যগুরু। অর্থাৎ দেবতাদের গুরু বৃহস্পতি আর দৈত্যদের গুরু শুক্র। এই দৈত্যগুরু শুক্রের পৃথিবীর ওপর প্রভাব অপরিসীম। জীব তথা জীবজগতের সৃষ্টির মূলেই আছে শুক্রের প্রভাব। শুক্র ছাড়া নতুন জীবের সৃষ্টি বা বংশবৃদ্ধি প্রায় অসম্ভব। শুক্র মানবজীবনে কামনা, বাসনা, সম্ভোগ, লালসা, আনন্দ সৃষ্টি করে ষড়রিপু ও ইন্দ্রিয়াদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে বাহ্য স্থুল বিষয়কে গ্রহণ করে আনন্দ দান করে। শুক্র গ্রহের প্রভাবে মানুষ এই সমস্ত বিষয়গুলো নির্বিঘ্নে লাভ করে। আবার শুক্রের অশুভ প্রভাবে উপরোক্ত বিষয়গুলোর প্রাপ্তিতে বিঘ্ন ঘটে।
এই অশুভ শুক্রের প্রভাবকে প্রশমিত করার জন্য শাস্ত্রে হীরক ধারণের উপদেশ দেওয়া আছে। হীরক অত্যন্ত শক্তিশালী রত্ন। তাই রাশিচক্র খুব ভাল করে বিচার করেই হীরক ধারণ করা উচিত। নচেৎ হীরার অপপ্রয়োগ বা অতিপ্রয়োগে নানা প্রকার হানির সম্ভাবনা থাকে।
শুক্রকে জ্যোতিষ শাস্ত্রে প্রেম ও বিবাহের কারক বলা হয়। শুক্রের কারকতা হল দাম্পত্য সুখ, চিত্রকলা, বিলাস, রসায়ন শাস্ত্র, অভিনয় প্রভৃতি। রাশি চক্রে শুক্র শুভ অবস্থায় থাকলে জাতক পত্নীসুখে সুখী ও যানবাহনযুক্ত হন। আবার এই শুক্র যদি রবির দ্বারা পীড়িত হয়, তাহলে চক্ষু রোগ অবধারিত। মহিলাদের কোষ্ঠীতে মঙ্গল, শুক্র, চন্দ্র দুঃস্থ স্থানে হলে নানা রূপ শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়।
শুক্রের শুভাশুভ প্রভাব বিচার করে এবং অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ নেওয়ার পর হীরা ধারণ করা উচিত।