জন্মকোষ্ঠীর নবম ভাবের গুরুত্ব জেনে নিন

জ্যোতিষশাস্ত্র একটি অধ্যাত্মিক বিষয়। এই বিষয় মানুষের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করে। কোনও খারাপ কাজের মাধ্যমে নিজের অথবা নিজেদের স্বার্থে সিদ্ধি করতে জ্যোতিষশাস্ত্র কখনই উপদেশ দেয়না।

Advertisement

পার্থপ্রতিম আচার্য

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:০০
Share:

জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে বিভিন্ন মানুষের ভাল চাওয়া কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন হয়। কেউ ভালও কাজের মাধ্যমে নিজের অথবা নিজেদের ভাল চাইছেন। আবার কারও ক্ষেত্রে নিজের অথবা নিজেদের ভালোর জন্য খারাপ কাজও আপত্তিজনক নয়। রাস্তা ভিন্ন ভিন্ন হলেও গন্তব্য কিন্তু একই, সেটা হল ভাল হওয়া বা উন্নতি হওয়া, যেভাবেই ভাবুন কেন। কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্র একটি অধ্যাত্মিক বিষয়। এই বিষয় মানুষের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করে। কোনও খারাপ কাজের মাধ্যমে নিজের অথবা নিজেদের স্বার্থে সিদ্ধি করতে জ্যোতিষশাস্ত্র কখনই উপদেশ দেয়না। জ্যোতিষশাস্ত্র বলে ‘সব ভাল যার শেষ ভাল তার’ অর্থাৎ ‘শুভ কাজের মাধ্যমে মোক্ষ প্রাপ্তি’। আর মোক্ষ প্রাপ্ত হওয়া বা নিজের বা নিজেদের ভাল হবার জন্য যে সমস্ত কর্ম তা নিহিত থাকে কোনও মানুষের কোষ্ঠীর নবম ভাবের মধ্যে।
প্রথমত দেখে নেওয়া যাক আপনার কোষ্ঠীর নবম ভাবটি যদি মেষ রাশিতে অবস্থান করেন, তবে আপনি কী ফল লাভ করবেন -
আপনার কোষ্ঠীতে নবম ভাব যদি মেষ রাশিতে অবস্থান করে, সেই কোষ্ঠীতে মঙ্গল নবম-পতি এবং চতুর্থ-পতি অর্থাৎ কেন্দ্র এবং ত্রিকোণের অধিপতি হয়। একে যোগকারী বলা হয়। মঙ্গল যত বলশালী হয়, জাতকের তত বেশি ধন ও সম্মান, খেতাব ইত্যাদি প্রাপ্ত হয়। চতুর্থ-পতি হলে মানুষ ভূমির অধিকারী হয়। মায়ের দিক থেকে এই মানুষটি অত্যন্ত সুখী হয়, জীবনে উন্নতি করেই চলে, সরকারি সম্মান ও সুখ প্রাপ্ত হয়। যদি কোষ্ঠীর কোনও গ্রহ অতি নির্বল হয় তাহলে সেই গ্রহ পিতার কারক ভাবের অধিপতির সংখ্যা প্রদর্শিত অঙ্গে কষ্ট প্রাপ্ত হয়, বিশেষত পিতার কারক সেই ভাবও যদি পাপ প্রভাবযুক্ত হয় তবেই এই ঘটনা ঘটে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement