আপনারা কি রাজযোটক ?

জাতক এবং জাতিকার যদি রাশি একই হয় তাহলে তা শুভ এবং রাজযোটক মিলন। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে নর-নারীর মধ্যে যোটক বিচার করার সময় বিশেষ করে তিনটি রাশিচক্র দেখার প্রয়োজন আছে।

Advertisement

পার্থপ্রতিম আচার্য

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৭ ০৫:০০
Share:

জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে নর-নারীর মধ্যে মিলনে কোনও বাধা আছে কিনা সেটা পর্যবেক্ষণ করার জন্য যোটক বিচার করার প্রয়োজন হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে নর-নারীর মধ্যে যোটক বিচার করার সময় বিশেষ করে তিনটি রাশিচক্র দেখার প্রয়োজন আছে।
প্রথমত - রাশির সঙ্গে রাশির মিলন।
দ্বিতীয়ত - অষ্ট-কূট বিচারের মাধ্যমেও গুণাগুণ সংক্রান্ত ব্যাপারে অবহিত হওয়া।
তৃতীয়ত - রাশিচক্রে বিবাহের স্থান এবং নর-নারী অর্থাৎ জাতক-জাতিকার আয়ু-স্থান এবং কোনও বিবাহ বিচ্ছেদ বা দুর্ঘটনার যোগ আছে কিনা তা জানা দরকার।
এছাড়াও অনেক প্রশ্ন থেকে যায়। যেমন সন্তান কেমন হবে, বিবাহের পরে ভাগ্য উন্নতি হবে কিনা, স্বভাব চরিত্র কেমন হবে, স্বাস্থ্য ভাল যাবে কিনা, বিবাহিত জীবনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিল হবে কিনা ইত্যাদি নানা প্রশ্নের মধ্য দিয়ে পাত্র বা পাত্রী নির্বাচন করা হয়। প্রয়োজন হলে শাস্ত্রীয় বিধি মতে বিবাহের পূর্বে তার প্রতিকার করা হয়।
রাশিচক্রে অর্থাৎ জন্মকুণ্ডলী বিচার করা হয় লগ্ন ধরে। কিন্তু এখানে লগ্নকে গুরুত্ব দেওয়ার থেকে রাশিকে গুরুত্ব দেওয়া বেশি প্রয়োজন। কোন কোন রাশির সঙ্গে কোন কোন রাশির মিলন হতে পারে তা জানা দরকার। জাতক এবং জাতিকার যদি রাশি একই হয় তাহলে তা শুভ এবং রাজযোটক মিলন।
এছাড়াও নক্ষত্রের সঙ্গে নক্ষত্রের মিলন পদ্ধতি বিচার করা দরকার। এই পদ্ধতির নাম অষ্ট-কূট বিচার। এই কূট আট প্রকার হয়। বর্ণ, বৈশ্য, তারা, যোনি, গ্রহমৈত্রী, গণ, রাশি, নারী। এইভাবে আট কূটের গুণ সমষ্টি হয়।
এই ৩৬ গুণের মধ্যে মিলনে কত গুণ পাওয়া যাচ্ছে সেটাই মূল কথা। এই বিষয়ে একটি কথা মনে রাখতে হবে ৩৬ গুণের মধ্যে ১৮ গুণের কম হলে তা যোটক মিলনে শুভ ফলপ্রদ হবে না। ১৮ গুণের বেশি হলে বিবাহিত জীবনে সুখ ও শান্তি লাভ সম্ভব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন