সম্পূর্ণ স্বাধীনতার মাধ্যমে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের জীবনকে সংসারের সকলের সঙ্গে একাত্ম করে, সুন্দর ভাবে কাটানোর অর্থ হল বিয়ে। বর্তমান সমাজে প্রায়শই দেখা যায় যে দম্পতিরা বিভিন্ন প্রকার সমস্যায় জর্জরিত। দাম্পত্য জীবনে সুখের অভাব থেকে বিবাহ বিচ্ছেদ, পরকীয়া থেকে প্রেম আজকের দৈনন্দিন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথমে আমাদের খুঁজতে হবে এই সমস্যার গুলির কারণ ও সমাধানের সম্ভাব্য উপায়কে। একটু ক্ষতিয়ে দেখলেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। বর্তমান সমাজ অনেকেই জ্যোতিষ শাস্ত্রের মতো ৭০০০ বছরের পুরনো শাস্ত্রকে অগ্রাহ্য করে শুধুমাত্র রক্ত পরীক্ষা করে নারী-পুরুষের বিবাহ স্থির করে থাকেন। কিন্তু তারা জানেন না শুধু রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে দাম্পত্য জীবনে সুখ লাভের উপায় গুলি জানা যায় না। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে স্বামী বা স্ত্রীর অকাল মৃত্যুর যোগ আছে কী না তা বিবাহের আগেই বিচার্য।
বিবাহের আগে পাঁচটি বিষয় বিচার করা আবশ্যক -
১) দরিদ্র দোষ
২) অকাল মৃত্যু
৩) অকাল বৈধব্য
৪) চরিত্র দোষ
৫) অনপত্য দোষ
গ্রহের স্থান অনুযায়ী অকাল বৈধব্য যোগ -
১) লগ্ন, চতুর্থে, সপ্তমে, অষ্টমে ও দ্বাদশে মঙ্গল থাকলে অকাল বৈধব্য যোগ প্রবল হয়।
২) সপ্তম ও অষ্টমে পাপগ্রহ থাকলে অকাল বৈধব্য যোগ সৃষ্টি হয়।
৩) দ্বাদশ পতি ও ষষ্ঠপতির দশা অন্তর্দশা চললে, তা কেটে যাওয়ার পর বিবাহ দিতে হয়। অন্যথায় বৈধব্য যোগের কারণ হয়।