প্রকৃতপক্ষে বাস্তুকে স্ত্রী ও পুরুষ দু ভাগে ভাগ করা হয়। একটি সূর্য-ভেদী, অপরটি চন্দ্র-ভেদী। ১৬ প্রকার বাস্তু দেখা যায়। যেমন - আয়তাকার, বর্গাকার, বৃত্তাকার, চক্রাকার, বিষমবাহু, ত্রিকোণাকার, চতুরস্রাকার, শকটাকার, দণ্ডাকর, পণবাকার, মুরজাকার, বৃহম্মুখাকার, বাজনাকার, কুর্মাকার, সুর্পাকার, ধনুকাকৃতি। এ গুলির মধ্যে আয়তাকার, বর্গাকার, বৃত্তাকার, চতুরস্রাকার বাদে বাকি ১২টি বাস্তুতে বসবাস করলে বিত্তনাশ, অর্থনাশ, শোক, দুঃখ, রাজরোষ, চুরি ইত্যাদি নানান বিষয়ে দুর্ভোগ হয়। আবার যে বাস্তু পূর্ব ও পশ্চিমে লম্বা, উত্তর ও দক্ষিণে চওড়া হয়, তাকে সূর্য-ভেদী বলে। এর ফলে পারিবারিক অশান্তি, মামলা-মোকদ্দমা, ধনক্ষয়, অর্থনাশ, অগ্নিভয়, শত্রুভয় থাকে। অন্যদিকে যে বাস্তু উত্তর ও দক্ষিণে লম্বা, পূর্ব ও পশ্চিমে চওড়া থাকে তাকে চন্দ্র-ভেদী বাস্তু বলে। এটি বসবাসের উপযোগী। এতে বাস করলে সুখ সমৃদ্ধি, সম্মান, অর্থাগম হয়ে থাকে।
বাস্তুর আকৃতি অনুযায়ী ফলাফল -
১) আয়তাকার বাসভূমি সব দিক থেকে সিদ্ধিদায়ক।
২) চতুর্ভুজ ক্ষেত্রের চারটি বাহু ও চারটি কোণ অসমান হলে ধনাগম হয়ে থাকে।
৩) শকটা-কৃতি ভূমিতে বাস্তু-গৃহ হলে ধননাশ হয়।
৪) চক্রাকার ভূমি দারিদ্র নিয়ে আসে।
৫) দণ্ডাকর বাস ভূমিতে গৃহ পালিত পশুপাখি নাশ হয়।
৬) বিষমবাহু বাস্তু নির্ধন এবং দুঃখের কারণ।
৭) ডিম্বাকৃতি বাসভূমিতে বসবাস করলে সারা জীবন অশান্তি ভোগ করতে হয়।
৮) অর্ধচন্দ্রাকার বাস ভূমিতে চৌর্যভয় ও শত্রুভয়ে ভীত থাকতে হয়।
বাস্তু শাস্ত্রে বাস্তু প্লটটিকে প্রথমে চার ভাগে ভাগ করে প্রথম ভাগ বাদ দিয়ে দ্বিতীয় ভাগে বাড়ি করতে হয়। বাড়ি কখনোই ব্রহ্ম স্থলে করা উচিত নয়। বাস্তু সব সময় ভাল করে বিচার করে তারপর বাড়ি তৈরি করতে হয়, তাহলে জীবন শান্তিময় ও সুখকর হয়।