জীবনে শুভ ফল লাভের একমাত্র পথ মা-বাবার আশীর্বাদ

আমরা বিজ্ঞানের সাহায্যে অনেক উন্নতি করেছি, অভিনব অনেক জিনিস সৃষ্টি করছি। কিন্তু জীবন সৃষ্টিতে ঈশ্বরকে আমরা দেখতে পাই মা-বাবা এই দুটি সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে। তাই মা-বাবাই মানুষের জীবন্ত ঈশ্বর।

Advertisement

শ্রীমতী অপালা

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:০০
Share:

এই পৃথিবীতে একটি শিশুর জন্ম হওয়ার পর শৈশব থেকে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত, এমন কি মৃত্যু পর্যন্ত তার অনেক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু জন্মের আগেই যে সম্পর্ক তৈরি হয়ে থাকে তা হল মা-বাবার সম্পর্ক। আমরা বিজ্ঞানের সাহায্যে অনেক উন্নতি করেছি, অভিনব অনেক জিনিস সৃষ্টি করছি। কিন্তু মৃত মানুষের মধ্যে প্রাণ সঞ্চার করতে আমরা আজও শিখিনি। এই কাজটি পারে একমাত্র ঈশ্বর। প্রাণ সঞ্চার করা তারই কাজ। তাই মা-বাবাই মানুষের জীবন্ত ঈশ্বর। অন্য কোনও সৃষ্টিতে ঈশ্বরকে আমরা দেখতে পাই না। কিন্তু জীবন সৃষ্টিতে ঈশ্বরকে আমরা দেখতে পাই মা-বাবা এই দুটি সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে।
আমাদের জীবনের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত মা-বাবাকে শ্রদ্ধা, ভালবাসা, ভক্তি ও উপযুক্ত সম্মান করা। আর তা না করলে, যতই মন্দির, মসজিদ, চার্চে মাথা ঠোকা হোক, ঈশ্বর, আল্লা বা গড কেউই মুখ তুলে তাকাবে না।
• জ্যোতিষ শাস্ত্রে দেখা যায় যাদের ছকে চতুর্থ-পতি খুব শক্তিশালী, নবম পতি খুব ভাল অবস্থায় আছে, তাদের গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান যদি চতুর্থ, নবম, একাদশ ও পঞ্চমের সংযোগে থাকে তাহলে এটা বোঝা যায় যে মা-বাবার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক খুব সুন্দর থাকবে।
• যদি চতুর্থ বা নবমের সঙ্গে কেতু-রাহু, শনি সম্পর্ক তৈরি করে এবং তৃতীয়, অষ্টম, দ্বাদশ এই সংযোগে থাকে সেক্ষেত্রে মা-বাবার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়।
• কিন্তু গ্রহ, নক্ষত্রের অবস্থান খুঁটিয়ে না দেখে একদমই বলা ঠিক নয় যে আপনার সন্তান আপনাকে দেখবে না। গ্রহের দৃষ্টি, ডিগ্রি, অবস্থান ঠিক মতো বিচার করে তবেই ফলা-দেশ দেওয়া উচিত।
জ্যোতিষ মতে বিচার করলে আগাম জানা যায় ভবিষ্যতের কথা, কিন্তু তার ওপর ভিত্তি করে, নিজের মনঃচক্ষু বন্ধ করে মা-বাবার প্রতি অমানবিক হওয়া একদমই উচিত নয়। ছকে কোনও কিছু খারাপ থাকলে সেটার প্রতিকার করে নিয়ে, মা-বাবার আশীর্বাদ নিয়ে চলাই সব থেকে ভাল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন