১) শুক্র আর চন্দ্রের যোগ জাতকের প্রেমের মধ্যে রসিকতা, আকর্ষণ, একাত্মতা তৈরি হয়। (এই যোগে অনেক জাতকের বিবাহ বহির্ভুত সম্বন্ধ হতে দেখা যায়।
২)জন্মকুণ্ডলীতে পঞ্চমভাব, সপ্তমভাব তথা একাদশভাবের অধিপতিদের মধ্যে পরস্পর সম্বন্ধ থাকলে প্রেম বিবাহ যোগ তৈরি করে।
৩)পঞ্চমভাব এবং সপ্তমভাবের অধিপতিদের পরিবর্তন যোগ, পঞ্চমপতি এবং সপ্তমপতির যুক্তি তথা পঞ্চমপতি আর সপ্তমপতির মধ্যে দৃষ্টির সম্বন্ধ থাকলে প্রেম বিবাহ যোগ তৈরি হয়।
৪)জন্মকুণ্ডলীতে মঙ্গল যদি সপ্তমভাবে বা তার স্বামীর সাথে সম্পর্ক যুক্ত হয় তাহলে সম্ভবত জাতক-জাতকার প্রেম বিবাহ হয়।
৫)পঞ্চমভাবের অধিপতির সপ্তমভাবের সাথে অথবা সপ্তমভাবে স্থিত গ্রহের সাথে সম্বন্ধ থাকে তাহলে জাতকের প্রেম বিবাহ হয়।
৬)শুক্র এবং বৃহস্পতির সম্বন্ধিত যোগ জাতকের আধ্যাত্মিক প্রেম যোগ তৈরি করে।
৭) পঞ্চমভাবে শুক্র আর চন্দ্রের যোগ, পঞ্চমপতির শুক্র আর চন্দ্রের সাথে সম্বন্ধ প্রেম বিবাহ যোগ তৈরি করে।
৮) মঙ্গল যদি পঞ্চমভাব বা তার অধিপতির সাথে সম্বন্ধিত হয় তাহলে প্রেম বিবাহ যোগ তৈরি হয়।
৯)যখন শুক্র শনি অথবা রাহু দ্বারা দৃষ্ট থাকে বা শুক্রের শনি অথবা রাহুর সাথে যুক্ত থাকে তাহলে প্রেম বিবাহের যোগ তৈরি হয়।
১০)যদি চন্দ্রের লগ্ন ভাবের সাথে সম্বন্ধ থাকে অথবা লগ্নপতির সপ্তম ভাব অথবা সপ্তম ভাবের স্থিত গ্রহের সাথে সম্বন্ধ হয় তাহলে প্রেম বিবাহ যোগ তৈরি হয়। শুক্রের শুভ গ্রহের সাথে যোগ তথা জন্ম কুণ্ডলীর প্রথমভাব, পঞ্চমভাব আর নবমভাবের ওপর বৃহস্পতির প্রভাব থাকে। লগ্নভাবে শুভরাশি এবং শুভ গ্রহের প্রভাব থাকে তথা মঙ্গল আর পঞ্চমভাব বলবান থাকে তাহলে জাতক চরিত্রবান আদর্শ প্রেমিক হয়। এই ব্যক্তির প্রেম উচ্চকোটির হয়।