সাধারন জ্যোতিষ অনুযায়ী ‘সম্মান’ বিষয়টিকে দশমভাব থেকে বিচার করা হয় ও রবি গ্রহকে কারক বলে ধরা হয়। কিন্তু শুধু দশম ও রবি গ্রহের বিচারে সন্মান বিষয় বিচার সম্পূর্ণ হয় না।
সম্মানহানির ভয় কম বেশি আমাদের সকলের মধ্যেই থাকে। কখন কোথায় সন্মানহানি হবে আমরা কেউ তা জানতে পারিনা। অনেক দিক থেকে অনেক কারনে সম্মান হানি হতে পারে, সে সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হল-
কোনও কাজ ভুলের জন্য সম্মানহানি। এক্ষেত্রে প্রথম ও দশমভাবের মুল নিয়ন্ত্রক কারক গ্রহকে পঞ্চম, অষ্টম, দশমভাবের সঙ্গে ও বিরুদ্ধ শনি ও মঙ্গলের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে।
কোনও ব্যক্তিকে অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থ দিতে না পারার জন্য সম্মানহানি। এক্ষেত্রে প্রথম বা দশম ভাবের মুল নিয়ন্ত্রক কারক গ্রহকে দ্বাদশ বা অষ্টম, তৃতীয় ও চতুর্থভাবের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে।
ধর্ষণ করার মানসিকতার জন্য সম্মানহানি। এক্ষেত্রে প্রথম, দশম, পঞ্চম ভাবের মুল নিয়ন্ত্রক কারক গ্রহকে পঞ্চম, চতুর্থ, অষ্টম, দ্বাদশভাব ও শুক্র, মঙ্গল, রাহুর সঙ্গে যুক্ত হতে হবে।
গোপন কার্যকলাপের কারনে সম্মানহানি। এক্ষেত্রে প্রথম ও দশমভাবের মুল নিয়ন্ত্রক কারক গ্রহ চতুর্থ, দ্বাদশ ভাবের সঙ্গে কেতু ও শনির যুক্ত হতে হবে।
শত্রুতার কারনে সম্মানহানি। এক্ষেত্রে প্রথম ও দশম ভাবের মুল গ্রহকে বিরুদ্ধ ষষ্ঠভাব, সপ্তম ও অষ্টমভাবের সাথে যুক্ত হতে হবে ও তার সাথে বিরুদ্ধ মঙ্গল ও শনির সঙ্গে যুক্ত হতে হবে।
বিদেশে কু-কর্মের কারনে সন্মানহানি। এক্ষেত্রে প্রথম ও দশমভাবের মুল নিয়ত্রক কারক গ্রহকে অষ্টম, নবম, দ্বাদশ ও কেতুর সঙ্গে যুক্ত হতে হবে।
উচ্চ আকাঙ্ক্ষা, চুরি বা ডাকাতির কারনে সম্মানহানি। এক্ষেত্রে প্রথম ও দশমভাবের মুল নিয়ন্ত্রক কারক গ্রহকে ষষ্ঠ, অষ্টম ও একাদশ ভাবের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে।