একমুখী রুদ্রাক্ষের গুণাগুণ সম্পর্কে দেখে নেওয়া যাক।
রুদ্রাক্ষ শিবের চোখের প্রতিরূপ।শিবের অত্যন্ত প্রিয় বস্তু।তার মধ্যে বহু প্রকার শক্তি কেন্দ্রীভুত থাকে।একমুখী রুদ্রাক্ষের মধ্যে অনেক দৈবশক্তি নিহিত থাকে। এটা অনেক জ্ঞানী ও পণ্ডিত ব্যক্তি বলে থাকেন।
প্রতিটি রুদ্রাক্ষের মধ্যে শিবের প্রভাব বর্তমান। অবশ্য শিবের সঙ্গে সঙ্গে অন্য দেবগণেরও প্রভাব থাকে। সব রুদ্রাক্ষে সেটা না থাকলেও বিশেষ বিশেষ কয়েকটি রুদ্রাক্ষে, অনুমান করা যায়। এই গুণগুলি বেশি থাকে একমুখী রুদ্রাক্ষে, তাই একমুখী রুদ্রাক্ষ ভীষণ দুর্লভ। কেউ যদি সেটা সঞ্চয় করে ঠিকমত ধারণ করতে পারে তাহলে শিবের সঙ্গে সঙ্গে অন্য দেবতার আশীর্বাদ ও মহাশক্তি সেই ব্যক্তি লাভ করতে পারে।
একমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে অনেক প্রকার বাধা বিপত্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়,কেবল তাই নয় ভগবান শিবের প্রতি বিশেষ ভক্তি প্রদর্শিত হয়।ক্রমে ক্রমে আধ্যাত্মিক উন্নতিও ঘটে। তাই একমুখী রুদ্রাক্ষ সকলের সেরাএটা গোল আকারের হয়। আবার গোলাকার ছাড়াও অর্ধচন্দ্রাকৃতি আকারের দেখা যায়।এটা যে কোনও আকারের হোক না কেন তাকে শুদ্ধ করে নেওয়া উচিত। কারন শুদ্ধি ব্যতিত কোনও বস্তুতে সফলতা পাওয়া যায় না।
সৌভাগ্যবশত যদি কেউ একমুখী রুদ্রাক্ষ পেয়ে থাকেন তাহলে তাকে নিয়ম অনুসারে পুজো করে তবে ধারণ করবেন। সব সময় মনে রাখতে হবে যে রুদ্রাক্ষ কোনও দিন অশুভ ফল প্রদান করে না। এর গুণাবলীর শেষ নেই।
সব শেষে একটা কথা বলা দরকার ,রুদ্রাক্ষের মন্ত্র না জানা থাকলেও কেবলমাত্র ‘ওঁ নমঃ শিবায়’’ বলে ধারণ করলেও ভাল পাওয়া যায়।