ত্বক পরিচর্যার রুটিনে ৫টি উপকরণ রাখলেই বয়স কমবে মলাইকা অরোরার মতো। ছবি: সংগৃহীত।
নিয়ম করে ক্লিনজ়িং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজ়িং করেন। মাঝেমধ্যে ফেশিয়াল, ফেস প্যাকও থাকে রূপচর্চার তালিকায়। তার পরেও কপালে বলিরেখা? বয়স বা়ড়তে থাকলে বলিরেখা, ত্বক কুঁচকে যাওয়া, জৌলুস কমে যাওয়া— এমন নানা লক্ষণই দেখা দিতে পারে। সেটা স্বাভাবিকও। তবে, কারও ক্ষেত্রে ৪০ বছরেই বলিরেখা চোখে পড়ে, আবার কেউ ৫০-এর কাছাকাছি পৌঁছেও ধরে রাখতে পারেন তারুণ্য।
শিল্পা শেট্টি থেকে মলাইকা অরোরা— তাঁদের বয়স ৫০ ছাড়িয়েছে ইতিমধ্যেই। অর্ধ সেঞ্চুরি পার করেছেন মাধুরীও। তবু তাঁর রূপ এখনও চর্চার বিষয়। কেউ বলতেই পারেন, তাঁরা যে নায়িকা! তবে ত্বকের চিকিৎসক, রূপটান শিল্পী, এমনকি অভিনেত্রীরাও বিভিন্ন সময় বলে থাকেন, জীবনচর্চায় বদল, সঠিক খাদাভ্যাস, নিয়মিত ত্বকের যত্নেই সৌন্দর্য, তারুণ্য ধরে রাখা যায়। চর্মরোগ চিকিৎসক প্রিয়া পূজার মতে, ৫টি এমন অ্যাকটিভ উপকরণ রয়েছে যা বয়স ধরে রাখার ক্ষেত্রে ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
১। রেটিনয়েড
বয়স বাড়তে না দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী উপাদান হল ভিটামিন এ থেকে প্রাপ্ত রেটিনয়েড। এটি কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে, ফলে বলিরেখা দূর করতে বেশ উপকারী। কোষের পুনরুজ্জীবনে সহায়তা করে। দাগছোপ দূর করে ত্বককে মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।
২। ভিটামিন সি
ভিটামিন সি-তে আছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, যা ত্বককে ‘বিষমুক্ত’ করে। চিকিৎসকের মতে রোজের রুটিনে ভিটামিন সি সিরাম যোগ করতেই হবে। দূষণ এবং সূর্যের আলোর প্রভাবে ত্বকের যে সমস্ত ক্ষতি হয়, তা থেকে ত্বককে মেরামত করতে সাহায্য করে। কোলাজেন তৈরি করতে সহায়তার পাশাপাশি ত্বককে উজ্জ্বলও করতে পারে।
৩। পেপটাইড
অ্যামিনো অ্যাসিডের ছোট ছোট শৃঙ্খল, যা দিয়ে তৈরি হয় কোলাজেন আর ইলাস্টিনের মতো প্রোটিন। ত্বককে নিজের ক্ষতি নিজে থেকেই মেরামত করার দিশা দেখায় পেপটাইড। এই উপাদান ত্বক মোলায়েম রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের নমনীয়তা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে পেপটাইড।
৪। হ্যালুরোনিক অ্যাসিড
শীতের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ত্বক। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে হ্যালুরোনিক অ্যাসিড। ত্বক মসৃণ রাখতে ফোলাভাব বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
৫। নিয়াসিনামাইড (ভিটামিন বি থ্রি)
নিয়াসিনামাইডও ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। শুষ্ক ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্রপথ সঙ্কুচিত রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার যে কোনও প্রক্রিয়াতেই নায়াসিনামাইড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে।