দ্বিমুখী রুদ্রাক্ষের গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নিন।
দ্বিমুখী রুদ্রাক্ষ সহজেই পাওয়া যায়। এটাকে দেখতে প্রায় চ্যাপ্টা ধরনের হয়। এতে সমৃদ্ধি আর সুরক্ষা করার শক্তি বেশী বিদ্যমান থাকে। এটা বশীকরণ প্রভাব থেকে মুক্ত থাকে।
দ্বিমুখী রুদ্রাক্ষ স্ত্রী-লোকেদের ক্ষেত্রে পরম উপকারী। এই দ্বিমুখী রুদ্রাক্ষকে স্বাস্থ্য বর্ধক ও গর্ভরোধক হিসাবে মানা হয়। এই রুদ্রাক্ষ ধারণকারী ব্যক্তি জনপ্রিয় স্বয়ং সম্পুর্ন আর দৈব পুজার অনুরাগী হয়ে থাকে।
গরুড় পুরাণ মতে এই রুদ্রাক্ষে শিব ও শক্তি দু’জনের দৃষ্টি নিহিত থাকে। সে কারণে এটা দাম্পত্য ও বন্ধুত্বে সর্বজন বশীকরণের মতো কাজ করে। এবং এর প্রভাবে রুদ্রাক্ষ ধারনকারী ব্যক্তি অবশ্যই জনপ্রিয় হতে পারবেন। এই রুদ্রাক্ষ ধারনে অনেক অসিদ্ধ সিদ্ধ হয়ে থাকে।
বিশেষভাবে শুদ্ধ করে এই রুদ্রাক্ষ পূজা করে ধারন করতে হয়। ধারন কালে ‘ওঁ নমো শিবায়’ বলে গলদেশে পড়তে হবে।
মন্ত্র পাঠ করে ভক্তি সহকারে বা ভক্তি ছাড়াই বা যদি কোনও ব্যক্তি লজ্জা ছাড়াই এই রুদ্রাক্ষকে ধারন করে থাকেন তাহলে তিনি সর্বপ্রকার পাপ থেকে মুক্তি লাভ করে, সব বিষয়ে ভাল জ্ঞান আহরণ করে থাকেন।
রুদ্রাক্ষ দেবদেবীর সমান। তাই এই রুদ্রাক্ষ ধারনে দেবদেবীর আশীর্বাদে সকল রকমের পাপ দূর হবে। দ্বিমুখী রুদ্রাক্ষ অর্ধনারীশ্বর, তাই এই রুদ্রাক্ষ ধারন করলে অর্ধনারীশ্বর প্রসন্ন হয়ে থাকেন। এবং এই রুদ্রাক্ষ অতিব মঙ্গলজনক।
জপ ও ধ্যান যোগে যদি রুদ্রাক্ষ ধারন করা যায় তাহলে পরমগতি লাভ করে। কারোর যদি কোনও কু-অভ্যাস থাকে তাহলে সেটা এই রুদ্রাক্ষ ধারনে বন্ধ হয়ে যায়।