Humayun Kabir

‘সরকারি জমিতে তো নির্মাণ হচ্ছে না!’ হুমায়ুনের বাবরি মসজিদ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিল হাই কোর্ট

জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের কাজ শুরু করেছেন ভরতপুরের সাসপেন্ড হওয়া বিধায়ক হুমায়ুন। এমনই অভিযোগে সম্প্রতি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। বৃহস্পতিবার সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৩৩
Share:

বহিষ্কৃত তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। — ফাইল চিত্র।

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বহিষ্কৃত তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বাবরি মসজিদ তৈরির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। সেই মামলাই এ বার খারিজ করে দিল উচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি খারিজ হয়ে গিয়েছে। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, ওই মামলার কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই।

Advertisement

জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের কাজ শুরু করেছেন ভরতপুরের সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন। এমনই অভিযোগে সম্প্রতি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। বৃহস্পতিবার সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট। দুই বিচারপতির বেঞ্চের যুক্তি, কোনও ব্যক্তির দায়ের করা এই ধরনের মামলার গ্রহণযোগ্যতা নেই। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, যেখানে মসজিদ নির্মাণের কথা বলা হয়েছে, সেটি কোনও সরকারি জমি নয়। সেটি একটি ট্রাস্টের জমি। তাই সেখানে নির্মাণকাজ নিয়ে আপত্তি ভিত্তিহীন। তা ছাড়া, আদালতের মতে, মামলাটি ত্রুটিপূর্ণ। তাই এ সংক্রান্ত কোনও আবেদনই বিবেচনা করা হবে না বলে জানিয়ে দেন বিচারপতিরা।

৬ ডিসেম্বর, অর্থাৎ অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন মুর্শিদাবাদে একই নামে একটি মসজিদের শিলান্যাস করেন হুমায়ুন। যখন থেকে হুমায়ুন মসজিদ প্রতিষ্ঠার দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিলেন, তার পর থেকেই হুমায়ুনের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলছিল তৃণমূল। মসজিদের শিলান্যাস নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয় হাই কোর্টে। মামলাকারীর দাবি ছিল, হুমায়ুনের মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাব সংবিধানবিরোধী। সে সময়েও ওই মামলায় হস্তক্ষেপ করেনি উচ্চ আদালত। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, আইনশৃঙ্খলা বজায় রেখে কর্মসূচির আয়োজন করতে হবে হুমায়ুনকে। রাজ্যকেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement