রোগ নির্ণয় ও রোগ প্রতিকারে রত্ন

রোগ প্রতিরোধে উপযুক্ত চিকিৎসার প্রয়োজন অবশ্যই আছে। অনুরূপ ভাবে রত্নও রোগ উপশমে সহায়ক হতে পারে। দেখে নেওয়া যাক রত্ন কোন অবস্থায় কী ভাবে রোগ সারায়:

Advertisement

পার্থপ্রতিম আচার্য

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০০:০০
Share:

রোগ প্রতিরোধে উপযুক্ত চিকিৎসার প্রয়োজন অবশ্যই আছে। অনুরূপ ভাবে রত্নও রোগ উপশমে সহায়ক হতে পারে। দেখে নেওয়া যাক রত্ন কোন অবস্থায় কী ভাবে রোগ সারায়:

Advertisement

সারা পৃথিবীতে আর্য ঋষিগণই সর্বপ্রথম জ্যোতিষ শাস্ত্রের চর্চার উপর আলোকপাত করেন। এই ঋষিদের মধ্যে প্রথমেই নাম করতে হয় গর্গমুনির। এ ছাড়া খনা, অমিতা, আর্যভট্ট, মহামুনি ভৃগু, মুনি বৃহস্পতি, ভরদ্বাজ, কপিলমুনি, মনু, পরাশর, সপ্তর্ষি, সত্যাচার্য, যবনাচার্য, বরাহমিহির এবং আরও অনেকে। এ সবই আজ থেকে প্রায় দশ হাজার বছর পূর্বের কথা।

পাশ্চাত্যের মনীষীরা বহু গবেষণা করে হাত দেখে বিভিন্ন রোগ এবং তা নিরাময়ের জন্য রত্নের কথা বলে গিয়েছেন। বিভিন্ন রোগ নির্ণয় ও সেই সঙ্গে তার প্রতিকারে কী রত্ন বা উপরত্ন ধারণ করবেন দেখে নেওয়া যাক:

Advertisement

দন্তরোগ হলে

ক। শনির ক্ষেত্র অধিক পুষ্ট হবে।

খ। এই ক্ষেত্রে একাধিক ছোট ছোট রেখা থাকবে।

গ। মঙ্গলের প্রশস্ত ক্ষেত্রে ত্রিকোণের মধ্যে অশুভ চিহ্ন থাকবে।

প্রতিকার:

পান্না (এর মধ্যে ভেনেজুয়েলার পাথরই সর্বশ্রেষ্ঠ)। তবে এর দাম খুবই বেশি তাই ‘Aquamerin’ অথবা ‘Onex’ এবং অবশ্যই চান্দ্রেয়ী মুক্তা বসরাই (মুক্তা হলে খুবই ভাল) ধারন প্রয়োজন।

রক্তের নিম্নচাপ হলে

ক। রবি এবং মঙ্গল নীচস্থ হয় এবং রবি বা মঙ্গল ক্ষেত্রে অশুভ চিহ্ন থাকবে।

প্রতিকার:

বার্মিজ রুবি বা ‘Gernet’ এবং রক্তপ্রবাল পরতে হবে।

স্নায়ুরোগ হলে

ক। আয়ুরেখা থেকে কোনও শাখা রেখা বেরিয়ে চন্দ্র ক্ষেত্রে যাবে।

খ। চন্দ্র ক্ষেত্র নীচস্থ ও অশুভ চিহ্ন যুক্ত হলে।

গ। শিরোরেখা চন্দ্র ক্ষেত্রের দিকে ঝুঁকে পড়বে।

প্রতিকার:

বসরাই মুক্তো অথবা সিলোনী মুনস্টোন অথবা ‘Opal’ Stone

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement