মূর্তি পুজো কেন করব

মানুষের চঞ্চল মন শান্ত হতে চেয়েও শান্ত হয় না। মনের চঞ্চলতাকে শান্ত করার একমাত্র উপায় বা সাধনা-মূর্তিপুজো। ধার্মিক আখ্যান অনুযায়ী চতুর্থী তিথিতে চন্দ্র দর্শন করা অনুচিত কেন?

Advertisement

শ্রীমতী অপালা

শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:০৪
Share:

(১) মূর্তি পুজো কেন করব? মূর্তি পুজোয় লাভ কি?
উপাসনার পঞ্চম শ্রেণী মূর্তি পুজো। মানুষের চঞ্চল মন শান্ত হতে চেয়েও শান্ত হয় না। মনের চঞ্চলতাকে শান্ত করার একমাত্র উপায় বা সাধনা-মূর্তিপুজো। চঞ্চল মনকে যদি বিনা মূর্তিতে শান্ত না হয় তবে মূর্তি পুজোর অতিরিক্ত কোনও সাধনা নেই।মূর্তির ওপর দৃষ্টি রাখলে ঐ মূর্তির প্রতি ভাবনা জাগ্রত হয় এবং ঐ ভাবনাই মনের চঞ্চলতাকে কেন্দ্রিত করে। মূর্তি পুজোর প্রচলন সনাতন হিন্দু ধর্মেই শুধু নয় অন্য ধর্মের লোকেদের মধ্যেও আছে। শিখরা ‘গুরু গ্রন্থ সাহিব’’ পুজো করে। খ্রিষ্টানরা প্রবিত্র ‘ক্রসের’, মুসলমান ‘কোরান শরীফ’ কে চুম্বন করে। মহাভারত কালের প্রমাণ ,একলব্য দ্রোণাচার্য্যকে গুরু মেনেছিল যেখানে দ্রোণাচার্য্য একলব্যকে শিষ্যরূপে অস্বীকার করেছিল। তা সত্বেও একলব্য তাঁকে গুরু মেনে তাঁর মাটির প্রতিমা স্থাপন করে বাণ-বিদ্যার শিক্ষা নিয়েছিলেন। অর্থাৎ ভাবনাকে প্রকাশ করার জন্য মূর্তি আবশ্যক।
(২) ধার্মিক আখ্যান অনুযায়ী চতুর্থী তিথিতে চন্দ্র দর্শন করা অনুচিত কেন?
চতুর্থী তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উপর ‘য্যমন্তক মনি’ চুরির কলঙ্ক লেগেছিল। অন্য এক পৌরাণিক কথা অনুযায়ী—চন্দ্রের নিজের সুন্দরতার অভিমান হয়েছিল এবং তিনি শংকর সুবন গজবদন, প্রথম পুজনীয় শ্রী গণেশের উপহাস করেছিলেন। ক্রুদ্ধ হয়ে গণেশ অভিশাপ দিয়েছিলেন যে তোমার রং কালো হয়ে যাক। চন্দ্র অভিশাপ শুনে ভয়ে কাঁপতে লাগলেন। ঐ দিন ভাদ্রপদের চতুর্থী তিথি ছিল। চন্দ্র গণেশের চরণ ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করলে গণেশ বলেন—তুমি সূর্যের প্রকাশে আলোকিত হবে এবং মাসে একদিনের জন্য পুর্নরূপ পাবে।আমার অভিশাপ কেবল ভাদ্রপদের চতুর্থীতেই বিশেষ প্রভাবী হবে।অন্য চতুর্থীতে এর বেশি প্রভাব হবে না। এই দিন যারা আমার পুজো করবে তারা মিথ্যা কলঙ্ক থেকে মুক্তি পাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন