লক্ষীছাড়া কথাটি বহুল প্রচলিত। কেউ জেনে, কেউ বা না জেনে, রেগে গিয়ে এই কথাটি ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু লক্ষীছাড়া বললে তো আর কেউ লক্ষীছাড়া হয় না। এর জন্য দরকার জন্মছকে দারিদ্র যোগ অথবা প্রেতদোষ অথবা বাস্তুর কোনও সমস্যা। দেখে নেওয়া যাক জ্যোতিষশাস্ত্রীয় যোগ।
জন্মছকে দারিদ্রযোগঃ—
লগ্ন সাপেক্ষে দ্বিতীয় ঘরের অধিপতির অবস্থান নির্ধারণ করে একজন মানুষ কতটা অর্থশালী হবে, সে আদৌ টাকা-পয়সা জমাতে পারবে কি না বা জমালে কতটা জমাতে পারবে।
ধনযোগঃ—
ধনপতি পঞ্চমে, পঞ্চমপতি ধনে বা ধনপতি লাভস্থানে, লাভপতি ধনে। কিংবা পঞ্চমপতি পঞ্চম এবং ভাগ্যপতি ভাগ্যস্থানে থাকলে বিশেষ ধনযোগ হয়। ধন ও লাভস্থানাধিপতি বা নবম ও পঞ্চমপতির সম্বন্ধ ধনযোগ। বিশেষ ধনযোগ রাশিচক্রে না থাকলে অন্য কোনও ধনসদৃশ (শুভ) যোগ থাকলেও জাতকের অল্প অর্থ হবে (অর্থাৎ প্রচুর অর্থ হবে না)।
ধন ও লাভাধিপতি একত্রে ব্যয়পতি যুক্ত হলে অথবা ব্যয় স্থানে থাকলে জাতকের ধন যতই হোক না কেন তা ব্যয় হয়ে যাবে। যদি ধনকারক বৃহস্পতির সঙ্গে ধনপতি ও বুধের সম্বন্ধ হয় তাহলে ধনদায়ক যোগ। যদি আয়পতি আয়স্থানে, লগ্নপতি লগ্নে এবং ধনপতি ধনস্থানে থাকে তাহলেও ধনযোগ হয়।
নির্ধনযোগ বিচারঃ—
যদি লগ্ন, চতুর্থ এবং ভাগ্যস্থানত্রয়ের অধিপতিগণ অষ্টম স্থানে থাকে তাহলে জাতক জন্মাবধি দারিদ্র ভোগ করে।
ধনপতি ব্যয়ে এবং ব্যয়পতি ধনস্থানে থাকলে নির্ধন যোগ। এটা প্রবল ঋণযোগও বটে।
ধনপতি ব্যয়স্থানে, ব্যয়পতি লগ্নে অবস্থান করে মারকাধিপতি দ্বারা দৃষ্ট হলে নির্ধন যোগ।
যে রাশির নবাংশে চন্দ্র আছে ওই রাশিপতি কোনো মারক গ্রহের সঙ্গে যুক্ত থাকলে বা মারকস্থানে অবস্থান করলে জাতক নির্ধন হয়।
লগ্নপতি, ধনপতি এবং চন্দ্র নবাংশপতি মারকস্থানে থাকলে বা মারকগ্রহ দ্বারা দৃষ্ট বা যুক্ত হলে দারিদ্রযোগ।
যদি পঞ্চমপতি রিপুভাবে (ষষ্ঠস্থানে) এবং ভাগ্যপতি রন্ধে (অষ্টম স্থানে) অবস্থান করে এবং ওই গ্রহদ্বয় মারক গ্রহ দ্বারা দৃষ্ট হয় তাহলে জাতক নির্ধন হয়।