পৃথিবীতে অনেক শিশুই আছে, জন্মের পর থেকে যারা পিতৃহারা। অন্যান্য সুযোগসুবিধা পাওয়া তো দূরের কথা, অনেক ক্ষেত্রে এই সব শিশুরা জন্মের পর থেকে স্নেহ, ভালবাসা, আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত, অন্যের দয়ায় বড় হতে পারে। শিশু বয়সের অনেক আবদার থেকে বঞ্চিত হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, অনেকে কেন ছোটবেলায় পিতাকে হারায়?
ভারতীয় ও পাশ্চাত্য জ্যোতিষ শাস্ত্র এক সুরে বলছে, এর একমাত্র কারণ গত জন্মে সন্তানের এমন কিছু কর্মফল আছে, যার জন্যে এই ভাবে এই জীবনে অকালে সে তার পিতার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে পিতৃস্নেহ থেকে তো বঞ্চিত হচ্ছেই, সেই সঙ্গে সে আরও অনেক কিছুর থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ বার নীচে সন্তানের জন্মছকের বিভিন্ন গ্রহগত বিন্যাস থেকে আমরা জানার চেষ্টা করব, কারা এই ভাবে পিতৃ স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়—
(১) সন্তানের জন্মছকে রবি হচ্ছে একমাত্র পিতার কারক গ্রহ।
(২) শনি হচ্ছে প্রকৃতিগত ভাবে মৃত্যুর কারক গ্রহ।
(৩) সন্তানের জন্মছকের নবম পতি/নবম ভাব দিয়ে বৈদিক জ্যোতিষে পিতাকে বোঝানো হয়ে থাকে।
(৪) সন্তানের জন্মছকে চতুর্থ পতি/চতুর্থ ভাব/দশম পতি/দশম ভাব থেকে পিতার আয়ুর বিচার করা হয়ে থাকে।
(৫) সন্তানের জন্মছকে রবি যদি দুঃস্থানে/নীচস্থ হয়ে অবস্থান করে বা দু’য়ের বেশি কুপিত গ্রহের মাঝে থাকে, তা হলে সন্তান অল্প বয়সে পিতাকে হারাবে।
(৬) কোনও সন্তানের জন্মছকে রবি যদি পঞ্চম/নবম ভাবে দুঃস্থানে নীচস্ত হয়ে অবস্থান করে, তা হলে বোঝায় পিতা নির্দিষ্ট বয়সের অনেক আগেই মৃত্যুবরণ করবে।
আরও পড়ুন: ভাই-বোনের সম্পর্ক ভাল রাখার সহজ কিছু টিপস
(৭) কোনও সন্তানের জন্মছকে যদি রবি ও শনি যুগ্ম ভাবে দ্বাদশে অবস্থান করে, আর ক্ষয়িষ্ণু ও দুর্বল চন্দ্র যদি সপ্তম ভাবে থাকে, তবে সন্তান অল্প বয়সেই তার পিতাকে হারাবে।
(৮) কোনও সন্তানের জন্মকুণ্ডলীতে রবি ও মঙ্গল যদি এক ঘরে অবস্থান করে আর শনির দ্বারা দৃষ্টিলাভ করে, তা হলে বোঝায় ওই সন্তান তার জন্মের এক বৎসরের মধ্যে তার পিতাকে হারাবে।
(৯) সন্তানের জন্মছকে রাহু ও রবি যদি নবম পতি যে ঘরে আছে তার থেকে অষ্টম ভাবে অবস্থান করে কোনও গ্রহের শুভ আস্পেক্ট বা দৃষ্টি না পেয়ে থাকে, তা হলে সন্তান শিশু বয়সেই তার পিতাকে হারাবে।
(১০) কোনও সন্তানের জন্মছকে রবি সপ্তম ভাবে, মঙ্গল দশম ভাবে আর রাহু দ্বাদশ ভাবে অবস্থান করে, তা হলে সেই সন্তানের পিতার দীর্ঘ দিন বাঁচা নিয়ে বিশেষ সন্দেহ থাকে।