কৌশিকী অমাবস্যায় এই কাজগুলি করুন, বাধাবিপত্তি থেকে মুক্তি পাবেন

তন্ত্র মতে এই অমাবস্যার রাতকে তারা রাত্রিও বলা হয়। এ দিন এক বিশেষ মুহূর্তে স্বর্গ ও নরক দুইয়ের দ্বার মুহূর্তের জন্য উম্মুক্ত হয় ও সাধক নিজের ইচ্ছামতো ধনাত্মক অথবা ঋণাত্মক শক্তি নিজের সাধনার মধ্যে আত্মস্থ করে ও সিদ্ধি লাভ করে।

Advertisement

পার্থপ্রতিম আচার্য

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৯ ০০:০৩
Share:

তন্ত্রসাধনার জন্য সাধারণত জ্যোতিষীরা অমাবস্যার রাতকেই বেছে নেন। তেমনই একটি হচ্ছে কৌশিকী অমাবস্যা। কথিত আছে, বামাখ্যাপা কৌশিকী অমাবস্যায় সিদ্ধিলাভ করেছিলেন।কৌশিকী অমাবস্যা, অন্য সব অমাবস্যার থেকে একটু আলাদা। কারণ, তন্ত্র ও শাস্ত্র মতে ভাদ্র মাসের এই তিথিটি একটু বিশেষ। তন্ত্রশাস্ত্র মতে অনেক কঠিন ও গুপ্ত সাধনা আজকের দিনে করলে আশাতীত ফল মেলে। বৌদ্ধ ও হিন্দু তন্ত্রশাস্ত্রে এই দিনের এক বিশেষ মাহাত্ম্য আছে। তন্ত্র মতে এই অমাবস্যার রাতকে তারা রাত্রিও বলা হয়। এ দিন এক বিশেষ মুহূর্তে স্বর্গ ও নরক দুইয়ের দ্বার মুহূর্তের জন্য উম্মুক্ত হয় ও সাধক নিজের ইচ্ছামতো ধনাত্মক অথবা ঋণাত্মক শক্তি নিজের সাধনার মধ্যে আত্মস্থ করে ও সিদ্ধি লাভ করে। তাই তন্ত্রসাধনার জন্য এই অমাবস্যা খুবই গুরুত্বপুর্ণ বলে মনে করা হয়।

Advertisement

দেখে নেওয়া যাক কিছু টোটকা, যেগুলো করলে আপনার ও আপনার পরিবারের বিশেষ উপকার হবে, অনেক বাধা থেকে মুক্তি পাবেন অনায়াসে।

১। প্রথমত অমাবস্যার দিন আপনার বাড়িঘর খুব সুন্দর ভাবে পরিষ্কার রাখুন। ওই দিন যেন বাড়ি অপরিষ্কার না থাকে, সে দিকে নজর রাখবেন। কোনও এঁটো বাসনপত্র যেন না থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখবেন। কোনও পুরনো, ছেঁড়া জামাকাপড় থাকলে, সেগুলি কাউকে দিয়ে দেবেন বা ফেলে দেবেন। শুধু বাড়িই নয়, বাড়ির সামনের উঠোনও পরিষ্কার রাখবেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: কৌশিকী অমাবস্যার সময়সূচি নির্ঘণ্ট ও সময়সূচি

২। এই অমাবস্যায় সন্ধের পর বাড়ির সদর দরজার সামনে দুটি তিলের তেলের প্রদীপ জ্বালাবেন। এর ফলে বাড়ির সমস্ত নেগেটিভ শক্তি বেরিয়ে গিয়ে পজিটিভ শক্তির আবির্ভাব ঘটবে।

৩। জীবনের সব সমস্যা, সব অসুবিধা দূর করতে এই টোটকা ব্যবহার করুন। আসন্ন কৌশিকী অমাবস্যায় সন্ধ্যাবেলায় একটি কুয়ো বা একটি গর্তে এক চামচ দুধ ঢালুন। তাতে আপনার জীবনের সমস্ত বাধাবিপত্তি দূর হয়ে যাবে।

৪। একটি শুকনো নারকেল, অর্থাৎ নারকেলের ভিতরে জল যেন না থাকে, এমন নারকেল নিয়ে তার এক দিকে ফুটো করে সে ফুটো দিয়ে চিনি পুরে দিন ভিতরে। এ বার ওই অবস্থায় নারকেলটিকে নিয়ে গিয়ে বাড়ি থেকে বেশ খানিকটা দূরে কোথাও পুঁতে দিন। লক্ষ্য রাখবেন যেন ওই ফুটোটা উপরের দিকে থাকে। আর এই কাজটি করার সময় কেউ যেন আপনাকে না দেখে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন