জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী সন্তান বিষয়ক কোনও সমস্যা জাতক-জাতিকার জন্মকুন্ডলী থেকে জানা সম্ভব। সন্তান সম্বন্ধে বিচারের জন্য কয়েকটি বিশেষ বিশেষ স্থান বা ভাব বিচারের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
সন্তানের কারক গ্রহ হল দেবগুরু বৃহস্পতি। এছাড়া পঞ্চমভাব ও পঞ্চম অধিপতি, লগ্ন ও রাশির পঞ্চমভাব ও তার অধিপতির ওপর জোর দিতে হবে। পঞ্চমভাব বন্ধ্যা রাশি হলে সন্তান লাভে বাধা আসে। বন্ধ্যা রাশি হল মেষ, মিথুন, সিংহ ও কন্যা। পঞ্চমভাব থেকে উদর ও গর্ভ বিচার করা হয়। নবমভাব বলবান হলে সন্তানলাভ হয়। বৃহস্পতি গ্রহে শুভাশুভের বলাদি বিচার সহ পুরুষের ক্ষেত্রে শুক্র ও নারীর ক্ষেত্রে মঙ্গলকেও বিচার করতে হবে।
এবার দেখা যাক জাতক –জাতিকার সন্তান- সুখ আছে কিনা না!
১। জন্মকুন্ডলীতে পঞ্চমভাব ও পঞ্চম অধিপতির স্থিতি যদি শুভ ও বলবান হয় তাহলে পূর্ণ সন্তানসুখ লাভ হয়।
২। লগ্ন অধিপতি যদি পঞ্চমভাবের থেকে ত্রিকোণে অথবা কেন্দ্রে যদি পঞ্চমপতির অবস্থান বলবান হয় তাহলে সন্তান সুখ হবে।
৩। জাতকের লগ্ন অথবা নবমভাবে পঞ্চম অধিপতি অবস্থান করলে সন্তান জন্মাবার পর জাতক উন্নতি করে অর্থাৎ সন্তানের মাধ্যমে সুখ আসে।
৪। লগ্নাধিপতি ও পঞ্চম অধিপতি যদি একত্রে কেন্দ্রে বা ত্রিকোণ ভাবে অবস্থিত হয় তাহলে সন্তান থেকে পূ্র্ণ সুখ পাওয়ার সম্ভাবনা।
৫। জাতচক্রে লগ্নে পঞ্চমভাব অধিপতি ও নবমভাব অধিপতি একত্রে অবস্থান করলে জাতক-জাতিকা সন্তান থেকে সুখী হবে।
৬। জন্মকোষ্ঠীতে নবমস্থান বা নবমভাবে লগ্নাধিপতি ও পঞ্চমভাব অধিপতি বলবান হয়ে অবস্থান করলে জাতক- জাতিকা সন্তান থেকে সুখ পাবে।
৭। জাতচক্রে পঞ্চমভাবে রবির শুভ প্রভাবে জাতক চরিত্রবান ও মর্যদাসম্পন্ন হয়। সন্তান মাতৃগর্ভে অবস্থান করার সময় থেকেই জাতক শুভ ফল পেতে থাকবে ও আর্থিক স্থিতি সুদৃঢ় হবে।
৮। জাতচক্রে পঞ্চমভাবে শুভ চন্দ্র অবস্থান করলে পূ্র্ণ সন্তানসুখ লাভ হয়। বহু ক্ষেত্রে কন্যা সন্তান থেকে বেশি সুখ আশা করা যায়।