রোজগারের এই তিন ত্রিভুজ কি আপনার হাতে রয়েছে?

যারা ভাল রকম রোজগার করতে চান, তাদের প্রথমেই জানতে হবে, তাদের করতলে তিনটি অর্থ রোজগারের চিহ্ন ত্রিভুজ ঠিক ভাবে আছে কিনা।

Advertisement

অসীম সরকার

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:০০
Share:

যারা ভাল রকম রোজগার করতে চান, তাদের প্রথমেই জানতে হবে, তাদের করতলে তিনটি অর্থ রোজগারের চিহ্ন ত্রিভুজ ঠিক ভাবে আছে কিনা।

Advertisement

(১) প্রথম অর্থ ত্রিভুজের নাম বৃহৎ ত্রিভুজ। এই ত্রিভুজ তিনটি মূল রেখা দ্বারা গঠিত— আয়ু রেখা, শিরোরেখা ও বুধরেখা বা স্বাস্থ্যরেখা। এই ত্রিভুজটি করতলের সবচেয়ে বড় ত্রিভুজ। এটি যত সুগঠিত হবে তার আর্থিক সৌভাগ্য ততই বলশালী হবে। এদের যেমন আয় ভাল হয়, তেমনই হয় সঞ্চয়। এই ত্রিভুজটি সুগঠিত হতে হলে এর প্রতিটি কোণকে সূক্ষ্ম কোণ হতে হবে।

প্রথম সূক্ষ্ম কোণ হয় শিরোরেখা ও আয়ুরেখা মিলে। এই কোণটিতে দু’টি রেখা এক সঙ্গে একটু বেশি দূর গেলে, জাতক যেমন সুন্দর ভাবে রোজগার করে, সেই সঙ্গে তাকে আবার ঠিকমতো জায়গায় সেই টাকাকে বিনিয়োগও করে। কোণটি ঠিকমতো গঠিত না হলে অতিরিক্ত অর্থ খরচ হয়ে যায়।

Advertisement

দ্বিতীয় সূক্ষ্ম কোণ গড়ে ওঠে বুধ রেখা ও শিরো রেখার সাহায্যে। এই কোণ ভাল ভাবে গড়ে উঠলে অর্থের সঙ্গে শরীর স্বাস্থ্যও ভাল যায়। না হলে রোজগার হয় বটে, তবে নিজে ভোগ করতে পারে না।

তৃতীয় সূক্ষ্ম কোণ গড়ে ওঠে আয়ু রেখা ও বুধ রেখার সংযুক্তিতে। এই কোণ সুন্দর ভাবে গড়ে উঠলে অর্থের সঙ্গে পরিবেশ ও সমাজের সঙ্গে আদান প্রদান ভাল হয় ও প্রবল জনবল থাকে।

আরও পড়ুন: বাড়ির প্রবেশদ্বার, সিঁড়ি ও জানালা বাস্তু মতে কেমন থাকলে গৃহস্থের মঙ্গল

(২) দ্বিতীয় অর্থ ত্রিভুজের নাম আয় ত্রিভুজ। এই ত্রিভুজের দুই বাহু গড়ে ওঠে শিরো রেখা ও ভাগ্য রেখার সংযুক্তিতে। তৃতীয় বাহু তৈরি হয় শিরো রেখা ও ভাগ্য রেখাকে ছেদ করে। এখানে ভাগ্য রেখাটি যেন শনির ক্ষেত্র অবধি পৌঁছায়।

এই রেখা যে হাতে থাকবে, সেখানে জাতক/জাতিকা মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তার পেশা অনুযায়ী অর্থ রোজগার করে যাবে। এখানে পেশা বলতে ব্যবসা, চাকরি,শিল্পকলা, ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং, এমনকি মুটেগিরি, রিক্সা চালানো যা খুশি হতে পারে। যে কোনও ভাবে তার আয় হবে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত।

(৩) তৃতীয় ত্রিভুজের নাম অর্থ ত্রিভুজ। এই ত্রিভুজটি গড়ে ওঠে শিরো রেখা, ভাগ্য রেখা আর বুধ রেখা বা স্বাস্থ্য রেখার সমন্বয়ে। এই রেখা প্রাচীন ভারতীয় সামুদ্রিক শাস্ত্রে দৈবত্রিভুজ বলে। এর অর্থ এরা জীবনের সবচেয়ে দুর্দিনে জাতক/জাতিকার নিজের গ্রাসাচ্ছাদনের জন্য যে সামান্যতম অর্থ লাগবে তা যে কোনও উপায়ে এসে যাবে। পূর্ব জীবনে তার সঞ্চিত অর্থ, সম্পদ, জমি, বাড়িঘর তার কাছে নানা ভাবে ফিরে আসবে। সে যদি প্রচুর অর্থ আগের জীবনে রেখে আসে, সেই অর্থ এই জীবনে নানা ভাবে ফিরে আসবে। এমনকি এরা যদি অলস ভাবে দিন কাটায়, তাতেও অর্থ ফিরে আসবেই। কর্মের ফল এমনই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন