মেডিকেল অ্যাস্ট্রোলজি: কোন মানসিক রোগের জন্য দায়ী কোন নক্ষত্র

যে কোনও মানসিক রোগের ক্ষেত্রে যেহেতু শনি, চন্দ্র ও রাহুর প্রভাব সর্বাপেক্ষা বেশি, তাই নিম্নলিখিত নক্ষত্র সকল উপরোক্ত গ্রহযুক্ত হলে রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাবে।

Advertisement

পার্থপ্রতিম আচার্য

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৮ ০০:০০
Share:

মানসিক রোগের ক্ষেত্রে নক্ষত্রের প্রভাব:

Advertisement

অথর্ব বেদের নক্ষত্রকল্পের পরিশিষ্টতে আঠাশটি নক্ষত্রের বর্ণনা আছে। এখানে বিভিন্ন প্রকার মানসিক রোগের ক্ষেত্রে নক্ষত্রের কার্যকরী প্রভাবের উল্লেখ করা হয়েছে যা নীচে লিপিবদ্ধ করা হল। যে কোনও মানসিক রোগের ক্ষেত্রে যেহেতু শনি, চন্দ্র ও রাহুর প্রভাব সর্বাপেক্ষা বেশি, তাই নিম্নলিখিত নক্ষত্র সকল উপরোক্ত গ্রহযুক্ত হলে রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাবে।

কৃত্তিকা নক্ষত্র (৩) অনিদ্রা, মাথাঘোরা, মস্তিস্কের জ্বর।

Advertisement

রোহিনী নক্ষত্র (৪) মাইগ‍্রেন, উন্মাদ, প্রলাপ বকা।

আর্দ্রা নক্ষত্র(৬) স্নায়ুবিকার।

অশ্লেষা নক্ষত্র(৯) বিষক্রিয়া ও স্নায়ুর দুর্বলতা।

মঘা নক্ষত্র (১০) হৃদকম্পন বৃদ্ধি ও মূর্ছা যাওয়া।

পূর্বাফাল্গুনী নক্ষত্র (১১) প্রেমজনিত অসাফল্যের কারণে সৃষ্ট মনোরোগ, রক্তচাপ।

উত্তর ফাল্গুনী নক্ষত্র (১২)। রক্তচাপ, মূর্ছা যাওয়া, মানসিক রোগ।

হস্তা নক্ষত্র (১৩) স্নায়ুশূল,উন্মাদনা।

চিত্রা নক্ষত্র (১৪) মস্তিস্কের জ্বর, অত্যন্ত প্রকট মাথার যন্ত্রণা।

স্বাতী নক্ষত্র (১৫) জটিল ও দীর্ঘ কোনও রোগের জন্য মানসিক রোগ।

বিশাখা নক্ষত্র (১৬) মূর্ছা যাওয়া, ভার্টিগো।

অনুরাধা নক্ষত্র (১৭) পক্ষাঘাত, অনিদ্রা, ভ্রম ও মৃগীরোগ, শিরোবেদনা।

জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র (১৮) কম্পনজনিত রোগ।

শতভিষা নক্ষত্র(২৪) সন্নিপাত, বিষম জ্বর।

পূর্ব ভাদ্রপদ নক্ষত্র (২৫) মানসিক রোগ, বিশেষত হঠাত্ হওয়া কোনও বিকৃতি।

রেবতী নক্ষত্র (২৭) অভিচারিক ক্রিয়ার প্রভাবে সৃষ্ট মানসিক রোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন