—প্রতীকী ছবি।
১৭ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার কার্তিকপুজো। এই পুজো কাটোয়া এবং বাঁশবেড়িয়ায় বিখ্যাত। সাধারণত কার্তিক মাসের সংক্রান্তির দিনে কার্তিক পুজো করা হয়। কার্তিক ঠাকুর শিব-দুর্গার কনিষ্ঠ পুত্র। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, কার্তিকপুজোর দিন বিশেষ কয়েকটা টোটকা পালন করতে পারলে খুবই উপকার পাওয়া যায়।
টোটকা:
১) কার্তিকপুজোয় নববিবাহিতাদের বাড়ির দরজায় লুকিয়ে কার্তিক ঠাকুর ফেলার চল রয়েছে। কার্তিককে নিজের সন্তান রূপে পুজো করলে সেই দম্পতিরও কার্তিক-সম সন্তান লাভ হবে এই ভাবনাতেই কাজটি করা হয়। এই ক্ষেত্রে অনেকেই যাঁরা কার্তিক ঠাকুর রেখে যান, তাঁদের উপর রাগ দেখান। এই কাজটি করা মোটেও উচিত নয়। উপরন্তু মূর্তিটিকে স্নেহের সঙ্গে ঘরে নিয়ে গিয়ে নিষ্ঠাভরে পুজো করা উচিত।
২) বিশেষ এই দিনে অবশ্যই কার্তিক ঠাকুরকে পায়েসের ভোগ নিবেদন করুন।
৩) যদি নিজের বাড়িতে পুজো হয় ভাল, না হলে যে বাড়িতে পুজো হয় সেখানে গিয়ে ছোটদের খেলনা, জামা, পাঁচটা গোটা ফল ও পাঁচ রকম মিষ্টি নিবেদন করুন। খুব ভাল ফল পাবেন।
৪) সন্তানদের লেখাপড়ায় মনোযোগ বৃদ্ধি করতে কার্তিক ঠাকুরকে পুজো করার সময় তাঁর পাশে পাঁচটা ময়ূরের পালক রেখে দিন। পুজো শেষে ময়ূরের পালকগুলো সন্তানের লেখাপড়ার জায়গায় রেখে দিন।
৫) কার্তিকপুজোর দিন সকালে তুলসীগাছের পুজো করুন এবং সন্ধ্যায় তুলসীমঞ্চে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালুন।
৬) কার্তিকপুজোর প্রসাদ সবার প্রথমে বাড়ির বাচ্চাদের হাতে দেবেন।
৭) কার্তিক ঠাকুরের পুজো করার সময় স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই একসঙ্গে পুজোয় অংশ নিতে হবে।