(১) কোনও কারণে স্ত্রী যদি স্বামীকে ত্যাগ করে চলে যায় অথবা স্ত্রী কখনও তার স্বামীর কাছ থেকে ভাল ব্যাবহার না পায়, তা হলে অবশ্যই ধরে নিতে হবে, স্ত্রীর জন্মছকে সপ্তমে ইউরেনাস অথবা মঙ্গল অবস্থান করছে।
(২) যদি দেখা যায়, জাতকের বিয়ের পর সন্তানের জন্ম দিতে পারেননি, বা জন্মগ্রহণ করার পর পরই অনেক ক’টা সন্তান মারা গিয়েছে, তা হলে বুঝতে হবে সেই জাতকের বৃহস্পতি কোনও ভাবে অশুভ শনি ও মঙ্গল দ্বারা বিশেষ ভাবে আক্রান্ত। এমন নিয়ম আছে, কারও সন্তান মারা গেলে বা সন্তানের মৃত্যুশোক পেলে ধরে নেওয়া হয় জন্মছকে অবশ্যই বৃহস্পতি খারাপ ভাবে অবস্থান করছে।
(৩) অনেকে আছেন যারা, পর পর অনেক ক’টি সন্তান জন্ম দিয়েছেন, আবার প্রত্যেকটি সন্তান সুস্থ ভাবে এবং ভাল ভাবে বেঁচে আছে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের লগ্ন থেকে পঞ্চম স্থান হবে কর্কট, বৃশ্চিক ও মীন।
(৪) আবার অনেকে আছেন, যাদের ৫ বছর বা ৭ বছর ব্যবধানে একটি বা দু’টি সন্তানের জন্ম হয়। এ ক্ষেত্রে তাদের লগ্ন থেকে পঞ্চম ভাব হবে মেষ, সিংহ ও কুম্ভ।
(৫) অনেকে ফুটফুটে সুন্দর সন্তানের জন্ম দেন। এ ক্ষেত্রে তাদের পঞ্চম অথবা একাদশ ভাবে অবশ্যই শুক্র অথবা চন্দ্র রয়েছে।
(৬) কারও আবার, অনেক ক’টা কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এক্ষেত্রে তার জন্ম লগ্ন বা চন্দ্র লগ্নের পঞ্চম স্থান হবে কর্কট, বৃশ্চিক ও মীন এবং উক্তস্থানে বৃহস্পতির দৃষ্টি থাকে।
(৭) কারও জন্মের অব্যবহতি পরেই সন্তান মারা যায়। সে ক্ষেত্রে মঙ্গল আর বৃহস্পতি কোনও এক রাশিতে অবস্থান করে, অথবা মঙ্গল বৃহস্পতিকে অশুভ ভাবে দৃষ্টি দিয়ে থাকে।
(৮) অনেকের আবার অনেক পুত্র সন্তান হয়। এ ক্ষেত্রে পঞ্চম ভাবকে অবশ্যই পুং রাশি হতে হবে এবং চন্দ্র ও বৃহস্পতিকে অবশ্যই পুরুষ রাশিতে থাকতে হবে।
(৯) অনেক জাতিকার বিয়ে হওয়ার পর আট বা দশ বছর অতিক্রান্ত হয়ে যাোয়ার পরেও কোনও সন্তানলাভ হয় না। সে ক্ষেত্রে তার জন্ম লগ্নের পঞ্চম বা একাদশ ভাবে অবশ্যই শনি অবস্থান করছে।
(১০) কারও সন্তান প্রায় কোনও না কোনও অসুখে ভোগে। সেই জাতক/জাতিকের পঞ্চম ভাবে শনি ও মঙ্গল সংযুক্ত ভাবে অবস্থান করে থাকবে।
(১১) কোনও জাতিকার আবার এ রকমও দেখা যায়, পর পর নানা কারণে গর্ভপাত করাতে হয়েছে বা সন্তান জন্মের পর পরেই মারা গিয়েছে বা নানা কারণে দু’একবার অপারেশন করাতে হয়েছে। এ রকম ক্ষেত্রে সেই জাতিকার পঞ্চম বা একাদশ ভাবে রাহু, মঙ্গল ও ইউরেনাস সংযুক্ত ভাবে অবস্থান করছে।