অন্যের সঙ্গে কেমন ভাবে কথা বলেন? বলে দেবে জন্মছক

জন্মছকে দ্বিতীয় ভাব, দ্বিতীয় পতি এবং দ্বিতীয় পতির অবস্থানের উপর কথা বলার দক্ষতা অনেকাংশে নির্ভরশীল।

Advertisement

অসীম সরকার

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৮ ০০:০০
Share:

কথা বলার দক্ষতা সবার এক রকম হয় না, এটা আমরা সবাই জানি। কেউ সুন্দর করে অবস্থা বুঝে, সাজিয়ে গুছিয়ে কথা বলে। আবার কেউ কোনও রকমে নিজের মনের ভাবটা অপরের নিকট তুলে ধরে। কেউ আবার মনের ভাব বোঝাতেই পারে না। জ্যোতিষ মতে কমিউনিকেশান স্কিল বা কথা বলার দক্ষতা কিসের উপর নির্ভরশীল, সেই বিষয়ে আমরা আলোচনা করব।

Advertisement

জন্মছকে দ্বিতীয় ভাব, দ্বিতীয় পতি এবং দ্বিতীয় পতির অবস্থানের উপর কথা বলার দক্ষতা অনেকাংশে নির্ভরশীল।

যদি দ্বিতীয় পতি ও দ্বিতীয় ভাব খুব জোরালো থাকে সে জাতক/জাতিকা খুব ভাল ভাবে গুছিয়ে কথা বলতে পারে। এরা ইন্টারভিউ বা গ্রুপ ডিসকাশনে উল্লেখযোগ্য ফল দেখিয়ে থাকে। এদের কথার ভিতর বিশেষ রকম রসবোধ থাকে।

Advertisement

আর যাদের দ্বিতীয় পতি এবং দ্বিতীয় ভাব অশুভ থাকে, তারা সহজেই কথা বলতে বলতে উত্তেজিত হয়ে পড়ে। অসংলগ্ন কথা বলে, ক্রোধান্বিত হয়ে পড়ে এবং অন্যকে কথার দ্বারা আঘাত করে বসে। এদের কথার ভিতর রসবোধ বা হিউমার থাকে না।

আরও পড়ুন: লাফিং বুদ্ধর মূর্তি কোথায় রাখা উচিত নয় জানেন?

যদি দ্বিতীয় পতি অগ্নি বা বায়ু রাশিতে অবস্থান করে, এরা দ্রুত রসবোধ নিয়ে কথা আরম্ভ ও শেষ করতে পারে।

আর যদি দ্বিতীয় পতি জল বা মাটির রাশিতে থাকে, এরা খুব বাস্তব বোধ সম্পন্ন হয়ে থাকে। অপ্রয়োজনে অন্যকে বিব্রত করে না। কথায় এরা সংযমী হয়ে থাকে।

যাদের দ্বিতীয় পতি স্থির রাশিতে থাকে, তারা একই কথা বার বার বলে চলে।

যাদের দ্বিতীয় পতি চর রাশিতে থাকে, তারা কথা বলার সময় থেকে থেকে বিষয়ান্তরে চলে যায়।

আবার যারা দ্বৈতচিহ্নের রাশিতে থাকে, তারা একটা বিষয়ে কথা বলতে বলতে হঠাৎ থেমে গিয়ে আবার প্রথম থেকে বলতে শুরু করে।

যদি দ্বিতীয় পতি রবি হয়: দ্বিতীয় পতি রবি হলে, জাতক/জাতিকা রাজনীতির কথাবার্তা বেশি করে আলোচনা করতে চায়। মেয়েরা ঘরের থেকে বাইরের আলোচনা বেশি করে থাকে। এরা খোশগল্প বা গসিপ বেশি ভালবাসে। এদের কথায় গর্বিত বা অহঙ্কারের মিশেল থাকে। থেকে থেকে আচরণে উদ্ধত ভাব থাকে যা চাপা যায় না। যদিও বৌদ্ধিক রসবোধ বা হিউমার এদের কথাবার্তায় অবশ্যই থাকে।

* যদি দ্বিতীয় পতি চন্দ্র হয়: যাদের দ্বিতীয় পতি চন্দ্র, তারা সব সময় নরম স্বরে বা নরম সুরে কথা বলা পছন্দ করে। এরা নিজেরাও নম্রতা রক্ষা করে কথা বলে, অপরের থেকেও এই একই রকম ব্যবহার প্রত্যাশা করে থাকে। এরা কথা বলার সময় এত সহজে এক বিষয় থেকে অন্য বিষয়ে চলে যায়, শ্রোতা বুঝতেও পারে না। এরা কথা বলার সময় শ্রোতার কথার খেই ধরে সহজেই তার মতের অনুকূলে কথা বলে। বিতর্ক যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলে, ফলে অন্যরা এদের সঙ্গে কথা বলে আনন্দ পায়। আবার এরা ভাল শ্রোতা।

* যদি দ্বিতীয় পতি মঙ্গল হয়: কোনও জন্মছকের দ্বিতীয়পতি যদি মঙ্গল হয়, তবে সেই জাতক/জাতিকা কথাবার্তা খুব সোজাসুজি বলে থাকে। মুশকিল হচ্ছে, এরা আবার খুব সহজেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে কথাবার্তা চলাকালীন। এরা আবার ব্যবসা, মার্কেটিং, সেলসের কাজে বা কোনও বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে অতি মাত্রায় আগ বাড়িয়ে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে থাকে।

* যদি দ্বিতীয় পতি শুক্র হয়: দ্বিতীয় পতি শুক্র হলে জাতক/জাতিকা কথা বলার সময় একটু সুরেলা ভাবে বলে থাকে। থেকে থেকে এরা কবিতার লাইন বা কোনও প্রবচন খুব সুন্দর ভাবে কথা বার্তায় এনে থাকে, যা শুনতেও ভাল লাগে। এরা কটূকথা প্রায় বলেই না। এমনকি কারও সঙ্গে কথা কাটাকাটি হলেয় এরা উচ্চ স্বরে কথা বলে না। এদের অনেকেই রেডিও বা ভিডিওর জকি হিসেবে কাজ করে থাকে। অনেক গায়ক/গায়িকার দ্বিতীয়ে শুক্র থাকে।

* যদি দ্বিতীয় পতি বুধ হয়: এদের কথাবার্তায় আকর্ষণীয় মজাদার কৌতুকজনক শব্দ থাকে। শব্দ চয়নে এরা বেশ তীক্ষ্ণ রুচিবোধের পরিচয় দিয়ে থাকে। খুব রসবোধ সম্পন্ন হয় এবং ভাষায় তার প্রকাশ থাকে। এরা দ্রুত, তাড়াতাড়ি,বাস্তব বোধে কোনও সমস্যার উত্তর দিয়ে থাকে আর দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

* যদি দ্বিতীয় পতি শনি হয়: এরা খুব প্র্যাক্টিক্যাল। এরা বলার থেকে অন্যের কথা শুনতে বেশি পছন্দ করে। আর কথা বলার সময় খুব হিসেব করে ভেবেচিন্তে কথা বলে। এরা কাউকে কথা দিলে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করে থাকে। ধনু ও মকর লগ্নের জাতক/জাতিকার গলার স্বরে কর্কশ ভাব থাকে।

* যদি দ্বিতীয় পতি বৃহস্পতি হয়: দ্বিতীয় পতি যদি বৃহস্পতি হয়, জাতক/জাতিকার গলার স্বরের এমন মাধুর্য থাকে যার জন্যে এরা ভাল পরামর্শদাতা বা কনসালট্যান্ট হয়ে থাকে। এরা মানুষকে সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে কথা বলতে পারে। এরা কখনও নিজের কথা অন্যকে বলে সহানুভূতি আদায় করে না। এরা নিচু স্বরে কথা বলে এবং যা বলে অন্তর থেকে বলে। এরা কথার মারপ্যাঁচ পছন্দ করে না। কথা কাটাকাটি একদম পছন্দ করে না। এরা একদম মিথ্যা বলে না। এরা যা বলে হৃদয় থেকে বলে।

* যদি দ্বিতীয় ভাবে রাহু থাকে: এদের কথাবার্তাতেও মজাদার কৌতুকজনক ভাব থাকে। তবে অনেক সময় এরা মুখে যে কথা বলে আর ভিতরের ভাব পুরো বিপরীত হয়ে থাকে। এরা বক্তা হিসেবে ভাল নাম করে কারণ এরা মিথ্যাকে সাজিয়ে গুছিয়ে ভাল ভাবে বলতে পারে। এরা অন্যকে মিথ্যা কথা বলে খুব সহজেই প্রভাবিত করতে পারে।

* যদি দ্বিতীয় ভাবে কেতু থাকে: এরা ব্যক্তিগত জীবনে খুব জ্ঞানী ও দার্শনিক হয়ে থাকে। এদের ভাব ও ভাষার মধ্যে তার প্রভাব পড়ে। এরাও রসবোধ সম্পন্ন, মজাদার, কৌতুক বোধ সম্পন্ন এবং মেপে কথা বলে থাকে। এরা অপরকে বুঝে কথা বলে থাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement