Rashi

পশু পাখিদের খাইয়ে কুপিত গ্রহকে কী ভাবে প্রশমিত করা যায় জানেন? (প্রথম পর্ব)

প্রাচীনকাল থেকে মানুষ কুপিত গ্রহের প্রতিকারে অনেক কিছু করে আসছে। কুপিত বা নেগেটিভ গ্রহ অর্থাৎ যে গ্রহ আমার অনুকূলে কাজ করছে না। জন্মছকে হয় গ্রহটি নীচস্থ বা শত্রুঘরে অবস্থান করছে বা অন্য গ্রহের অশুভ পেক্ষার জন্যে গ্রহটি ঠিক মতো কাজ করতে পারছে না।

Advertisement

অসীম সরকার

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৮ ০০:০০
Share:

প্রাচীনকাল থেকে মানুষ কুপিত গ্রহের প্রতিকারে অনেক কিছু করে আসছে। কুপিত বা নেগেটিভ গ্রহ অর্থাৎ যে গ্রহ আমার অনুকূলে কাজ করছে না। জন্মছকে হয় গ্রহটি নীচস্থ বা শত্রুঘরে অবস্থান করছে বা অন্য গ্রহের অশুভ পেক্ষার জন্যে গ্রহটি ঠিক মতো কাজ করতে পারছে না। এই রকম অবস্থায় মানুষ গ্রহ প্রতিকারে পূজাপাঠ, মন্ত্র জপ, রত্ন বা ধাতব পদার্থ ধারণ, গাছের মূল ধারণ, ঘোড়ার খুরের আংটি ধারণ, তাবিজ, কবজ ও মাদুলি ধারণ করে থাকে। লাল কিতাব অনুসারে আবার এ সব ক্ষেত্রে নানা রকম খাদ্য সমগ্রী দান বা জলে অর্পণ বা পশুকে খাওনোর কথা বলা হয়েছে।

Advertisement

হ্যাঁ, বিভিন্ন পশু পাখিকে খাওয়ানোর মাধ্যমে আমরা কুপিতগ্রহকে তুষ্ট করতে পারি। এ রীতি আজকের নয়, বহুকাল থেকে চলে আসছে। ভারতবর্ষে বিভিন্ন শাস্ত্রে এর উল্লেখ আছে। এ বার নীচে বিভিন্ন অশুভ গ্রহকে তুষ্ট করতে কোন ধরনের জাতীয় পশু পাখিকে কী খাওয়াতে হবে এবং কী ভাবে খাওয়াতে হবে তা উল্লেখ করা হল।

(১) যার জন্মছকে রবি কুপিত- জন্মকুণ্ডলীতে যদি দেখা যায়, রবি অশুভ থাকার জন্য চাকরি বা ব্যবসা সেরকম ভাবে সফল হচ্ছে না,এই রকম ক্ষেত্রে তারা যদি ঘোড়াকে ছোলা বা ঘোড়া যা খায় তা যদি খাওয়াতে পারেন, তা হলে রবির অশুভ প্রকোপ কমে যায় এবং কাঙ্খিত ফল লাভ করা যায়। অথবা আপনার বাড়ির বারান্দায় বা উঠোনে নাম জানা বা না জানা পাখিদের খাওয়ালে এই একই ফল পাবেন।

Advertisement

(২) যাদের জন্মছকে চন্দ্র বলহীন- চন্দ্র খারাপ থাকা মানেই অপুষ্টিতে ভোগা, ক্ষীণ দেহ, নানা কারণে শরীরে আঘাতে লেগে কেটে যাওয়া, প্রায়ই রক্তপাত হওয়া বোঝায়। এ সব ক্ষেত্রে তারা যদি নিকটবর্তী জলাশয় বা পুকুরে মাছ বা কচ্ছপকে প্রতি দিন নিয়ম করে খাওয়াতে পারেন, চন্দ্রের অশুভ থাকার কারণে যে কষ্ট ভোগ হচ্ছিল, তা কেটে যাবে।

(৩) যাদের জন্মছকে মঙ্গল অশুভ- জন্মছকে মঙ্গল অশুভ থাকলে মানূষ প্রায়ই হঠকারী প্রকৃতির হয়ে থাকে।নানা কারণে শরীরে বার বার রক্তপাত হয়, দুর্ঘটনা হয়, গায়ে প্রায় ফোঁড়া হয়, নানা কারণে ঝগড়া হয়। আর যতই ঝগরা করবেন ততই নেগেটিভ প্রভাব বাড়বে। এই রকম অবস্থায় তারা যদি ভেড়া বা ভেড়ার পালকে খাওয়াতে পারেন, তা হলে কুপিত মঙ্গলের হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন। ভেড়া ছাড়া বানর বা হনুমানকেও খাওয়াতে পারেন। সে ক্ষেত্রেও ওই একই ফল পাবেন।

(৪) জন্মকুণ্ডলীতে বুধ যদি অশুভ থাকে- বুধ যদি অশুভ বা বলহীন অবস্থায় থাকে বা শত্রু গ্রহদ্বারা আক্রান্ত অবস্থায় থাকে, তখন স্নায়ুর রোগ হতে পারে। বাড়িতে মৃগী রোগ হয়, বংশ পরম্পরায় মাথার সমস্যা হয়।কথাবাগীশ হয়, ব্যবসা ভাল যায় না। এই অবস্থায় অশুভ বুধের হাত থেকে নিস্তার পেতে আপনার বাড়িতে যে পাখিরা উড়ে এসে বসে শুধু সেই সব পাখীদের দানা শস্য খাওয়াতে পারেন। এতে আস্তে আস্তেু অশুভ বুধের কুফল কেটে যাবে। অনেকে টিয়া বা কাকাতুয়া পোষেন। এটাও করতে পারেন, এই একই ফল পাবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন