ক্যাটসআই রাতে বা অন্ধকারে বেড়ালের চোখের মতো জ্বল জ্বল করে। সেই জন্যই হয়তো এর নাম ক্যাটসআই হয়েছে। এরা দেখতে আকর্ষণীয় এবং এর মধ্যে বড় উজ্জ্বল রেখা থাকে। ভারতের গুজরাত, রাজস্থান, বিন্ধ্যাচলের কিছু অঞ্চলে এটি পাওয়া যায়। বিদেশে বিশেষত আমেরিকা, আরব, শ্রীলঙ্কা, ব্রাজিলে পাওয়া যায়। শ্রীলঙ্কার ক্যাটসআই সর্বশ্রেষ্ঠ রূপে পরিগণিত। সাধারণত এটা সাদা, কালো, সবুজ, হলদেটে এবং শুকনো পাতার মতো রঙের হয়।
ক্যাটসআই সাধারণত চার শ্রেণির-
• শিশুপালী– এটা আকারে বড়।
• স্ফটিক– এটা অত্যন্ত উজ্জ্বল এবং জমকালো।
• পাঁচ– এই প্রকার ক্যাটসআইতে কোনও প্রকার আঁচড় লাগলেই নষ্ট হয়ে যায়।
• গীরি কাচ– এই প্রকার ক্যাটসআইতে কোনও রকম ঔজ্জ্বল্য থাকে না।
সর্বশ্রেষ্ঠ ক্যাটসআই-এর পরিচয় –
• এটা মসৃণ, জমকালো ও হাতে নিলে পিছলে পড়ে যাওয়ার মতো হয়।
• এটা অনুমানের থেকে বেশি ভারী হয়।
• উত্তম ক্যাটসআইতে তিনটি রেখা যুক্ত ডোরা দাগ থাকে।
আরও পড়ুন: আপনার জন্মকুণ্ডলী থেকে জেনে নিন আপনার স্ত্রীর চরিত্র কেমন হতে পারে (প্রথম অংশ)
• চিড় ধরা, বিন্দু বা কোনও রকম দাগ থাকা ক্যাটসআই নিম্নমানের হয়।
এতো গেল শ্রেষ্ঠ ক্যাটসআইয়ের গুণাগুণ। কিন্তু আমাদের কাছে সবথেকে বড় সমস্যা হল ক্যাটসআই চিনব কী করে। সহজ উপায়ে ক্যাটসআই চেনার কতগুলি নিয়ম রয়েছে। যেমন আসল ক্যাটসআইকে ঘষলে তাতে ঔজ্জ্বল্য বাড়তেই থাকে। নকলের ক্ষেত্রে যা সম্ভব নয়। যদি অন্ধকারে রেখে দেন, তা হলে এটা বিড়ালের চোখের মতো জ্বলজ্বল করবে। উঁচুনিচু বা কালো দাগপুর্ণ এবং জলের রঙের ক্যাটসআই দোষপূর্ণ ও হানিকারক হয়।