নবগ্রহ শান্ত রাখার সহজ কিছু উপায়

আমাদের জীবনে গ্রহের যেমন সুপ্রভাব রয়েছে, ঠিক তেমনই গ্রহের কুপ্রভাবও অস্বীকার করা যাবে না। গ্রহের সুপ্রভাব থাকলে যেমন আমাদের জীবনে ভাল ঘটনা ঘটে, আবার কুপ্রভাবে খারাপ ঘটনাও ঘটে। আমরা অনেক চেষ্টা করি আমাদের জীবনের কুপিত গ্রহগুলিকে শাম্ত ভাল করার।

Advertisement

শ্রীমতী অপালা

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৯ ০০:০৫
Share:

আমাদের জীবনে গ্রহের যেমন সুপ্রভাব রয়েছে, ঠিক তেমনই গ্রহের কুপ্রভাবও অস্বীকার করা যাবে না। গ্রহের সুপ্রভাব থাকলে যেমন আমাদের জীবনে ভাল ঘটনা ঘটে, আবার কুপ্রভাবে খারাপ ঘটনাও ঘটে। আমরা অনেক চেষ্টা করি আমাদের জীবনের কুপিত গ্রহগুলিকে শাম্ত ভাল করার। নানা রূপ প্রতিকারের উপায় খোঁজার চেষ্টা করি।

Advertisement

জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, যে কোনও তীর্থে স্নান করলে নবগ্রহকে শান্ত রাখা যায়। পুরাণে লেখা আছে গঙ্গাস্নানের মাহাত্ম্যের কথা। আমরা তো অনেক তীর্থ স্থানে যাই। সেখানে গিয়ে নদী হোক বা সাগরে স্নান করি। সেই তীর্থ স্নান করলে নবগ্রহকে অনেকটা শান্ত করা যায়।

আরও পড়ুন: নাড়ী জ্যোতিষ মতে কেমন হতে পারে আপনার কর্মক্ষেত্র

Advertisement

শাস্ত্র মতে সাত রকম স্নানের কথা বলা হয়েছে। তবে স্নানের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্নান হল মঙ্গল স্নান। কার্তিক পূর্ণিমায় কুম্ভস্নান এবং মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাস্নান করলে জীবনের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং অনায়াসেই পূণ্য অর্জন করা যায়।

তীর্থে স্নানের কিছু নিয়ম রয়েছে, যা মানলে গ্রহ শান্তি করা যায়। যেমন, একটি মাটির কলসিতে যে কোনও তীর্থস্থানের জল রাখুন। তারপর সেই কলসিতে কিছুটা আতপ চাল, সাদা সর্ষে, কয়েকটা দুর্বা, অল্প লাল চন্দন ও কিছুটা কালো তিল মেশাতে হবে। এরপর যখন স্নান করবেন, তখন এক গ্লাস জল নিজের স্নানের জলে মিশিয়ে নিয়ে নবগ্রহের শান্তি কামনা করে স্নান সেরে ফেলুন। এই ভাবে পর পর তিন দিন করতে হবে। তিন দিন সম্পূর্ণ হয়ে গেলে অবশিষ্ট জল-সহ মাটির কলসিটি জলে ভাসিয়ে দিন। এর ফলে অবশ্যই গ্রহ শান্ত হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন