হিন্দু শাস্ত্রে বলা আছে ‘ভ্রুণ হত্যা মহাপাপ, করলে পড়ে হবে নরকবাস’। একই ভাবে রোমান ক্যাথলিক সম্প্রদায় ভ্রুণ হত্যাকে চরম ভাবে ঘৃণা করে। ইসলাম ধর্মেও ভ্রূণ হত্যা বারণ। ভারতীয় আইনেও ভ্রূণ হত্যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ, একমাত্র বিশেষ শারীরিক সমস্যায় কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তারের অনুমতিতে অ্যাবরশন চলতে পারে।
মায়েদের জন্মছকে কী ধরনের গ্রহবিন্যাস থাকলে তাঁদের মিসক্যারেজ বা অ্যাবরশন হতে পারে তা আলোচনা করা হল—
(১) কোনও মায়ের জন্মছকে দুটো বা তিনটে কুপিতগ্রহ (মঙ্গল, শনি, রাহু বা কেতু) পঞ্চম ভাব বা পঞ্চম পতিকে দৃষ্টি দেয়, তা হলে সেই মা ভ্রূণ হত্যা করতে পারে।
(২) যদি কোনও মায়ের জন্মছকে পঞ্চম পতি ষষ্ঠ, অষ্টম বা দ্বাদশ ঘরে কোনও কুপিত গ্রহের সঙ্গে অবস্থান করে, তা হলে সেই মা ভ্রূণ হত্যা করতে বাধ্য হবেন।
(৩) কোনও মায়ের জন্মছকে মঙ্গল যদি পঞ্চম ভাবে দৃষ্টি দিয়ে থাকে বা মঙ্গল যদি পঞ্চম পতির সঙ্গে সংযুক্ত অবস্থায় থাকে, তবে সেই মা অ্যাবরশন করে থাকে।
(৪) পঞ্চম ভাবে কোনও মায়ের জন্মছকে শনি কুপিত অবস্থায় দৃষ্টি দিলে এবং সেই শনি যদি মারক বা বাধক অধিপতি হয়, তা হলে সেই মায়ের মিসক্যারেজ হবে।
(৫) কোনও মায়ের জন্মছকে মঙ্গল যদি পঞ্চম পতি হয় এবং সেই মঙ্গল যদি নীচস্থ হয়ে দু’স্থানে থাকে এবং শনি বা রাহু কর্তৃক দৃষ্টি প্রাপ্ত হয়, তা হলে সেই মায়ের মিসক্যারেজ হয়।
(৬) কোনও মায়ের জন্মছকের পঞ্চম স্থানে যদি কোনও একটি কুপিত গ্রহ থাকে, পঞ্চম পতি যদি ষষ্ঠ বা অষ্টম ভাবে বৃহস্পতি-সহ অবস্থান করে, তা হলে সেই মা ভ্রূণ হত্যা করতে পারে।
(৭) কোনও মায়ের জন্মছকে সন্তানকারক গ্রহ বৃহস্পতি যদি ষষ্ঠ বা অষ্টম বা দ্বাদশ ভাবে অবস্থান করে অন্য কোনও এক বা একাধিক কুপিত গ্রহদ্বারা দৃষ্টি প্রাপ্ত হয়, তা হলে সেই মা ভ্রূণহত্যা করবে।
(৮) যদি মঙ্গল একাদশ, দশম বা দ্বিতীয় ঘরে অবস্থান করে, আর পঞ্চম পতি যদি প্রথম, ষষ্ঠ, অষ্টম বা নবম ভাবে অবস্থান করে, তা হলেও অ্যাবরশন সম্ভব।
(৯) যদি শনি একাদশ, অষ্টম বা তৃতীয় ঘরে অবস্থান করে, আর মঙ্গল যদি দ্বিতীয়, দশম বা একাদশ ঘরে থাকে, তা হলে হয় মৃত সন্তান প্রসব হবে না হলে অ্যাবরশন হবে।
(১০) যখন ষষ্ঠ পতি বা অষ্টম পতি বা একাদশ পতি পঞ্চম ভাবে অবস্থান করে এবং এই পঞ্চম ঘরে এক বা একাধিক কুপিত গ্রহ দৃষ্টি দিয়ে থাকে, তা হলে অ্যাবরশন সম্ভব।
(১১) যদি পঞ্চম পতি নীচস্থ হয়, আর অন্য কোনও নীচস্থ গ্রহ পঞ্চম ভাবে অবস্থান করে, তা হলে মিসক্যারেজ হবে।