হাতে রেখায় শুক্র বন্ধনী

বুধের ক্ষেত্র থেকে বৃহস্পতির ক্ষেত্র অবধি বৃত্তাকারে ক্ষেত্রগুলোকে শুক্র বন্ধনী বেষ্টন করে থাকে। সর্বশ্রেণীর করতলে শুক্র বন্ধনী পরিলক্ষিত হয় না। সাধারনত স্পর্শকাতর হাতগুলোতেই শুক্র বন্ধনী বেশী দেখা যায়।

Advertisement

পার্থপ্রতিম আচার্য

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৮ ০০:২৬
Share:

আপনার হাতের রেখায় কি শুক্র বন্ধনী আছে? জেনে নিনি ফলাফলঃ—

Advertisement

• বুধের ক্ষেত্র থেকে বৃহস্পতির ক্ষেত্র অবধি বৃত্তাকারে ক্ষেত্রগুলোকে শুক্র বন্ধনী বেষ্টন করে থাকে। সর্বশ্রেণীর করতলে শুক্র বন্ধনী পরিলক্ষিত হয় না। সাধারনত স্পর্শকাতর হাতগুলোতেই শুক্র বন্ধনী বেশী দেখা যায়।

• পৃথ্বীশ্রেণীর জাতকের করতলে যদি একটি সুন্দর শুক্র বন্ধনী থাকে, তাহলে জাতকের মধ্যে রুক্ষতা ভাব বহুলাংশে কমে আসবে। তবে ভাঙা, বা অতি বৃহৎ ও বিসদৃশ শুক্রবন্ধনী পৃথ্বীশ্রেণীর করতলে কখনোই ভালো ফলের সূচক হয় না। এরূপ ক্ষেত্রে জাতক চরিত্রহীন বা লম্পট প্রকৃতির হয়ে যেতে পারেন।

Advertisement

• অগ্নিশ্রেণীর করতলে শুক্রবন্ধনী কখনো ভালো ফলের সূচক হবে না। অত্যন্ত মানসিক অস্থিরতা, পরিবর্তনশীলতা এদের মধ্যে দেখা যাবে।

• জলশ্রেণীর জাতকের করতলে শুক্রবন্ধনী থাকলে তাকে আরও বেশি স্পর্শকাতর করে তুলবে।

• বায়ুশ্রেণীর জাতকের করতলেও গভীর শুক্রবন্ধনী কিছুটা মানসিক অস্থিরতার সূচক।

• এক কথায় শুক্রবন্ধনী আংশিকভাবে পৃথ্বীশ্রেণীর জাতকের করতলেই কিছুটা সুফল প্রদায়ী।

• করতল যদি খুব পাতলা হয়, তবে শুক্রবন্ধনী অনেক সময় কিছু প্রিভেনশনের কারক হতে পারে। বিশেষ করে চন্দ্র এবং শুক্র ক্ষেত্র যাদের অপরিণত বা দোষযুক্ত তাদের করতলে শুক্রবন্ধনী কখনোই ভালো ফলের সূচক হয় না। অনেক সময় হিস্টিরিয়া, মৃগি প্রভৃতি রোগের কারকও হয়ে দাঁড়ায় এই শুক্র বন্ধনী। প্রকৃতপক্ষে সার্বিকভাবে শুক্র বন্ধনী যদি ভাঙা হয় তবে সেটা অগ্নি বা জলশ্রেণীর জাতকের করতলে বিপদের সূচক, এক কথায় শুক্র বন্ধনী না থাকাই মঙ্গলজনক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন