India-Pakistan Row

পাকিস্তানের মাথায় ‘ডলার-বৃষ্টি’, উপুড়হস্ত ট্রাম্প, আইএমএফের ‘কৃপাহি কেবল্‌ম’! ইসলামাবাদের চালে মাত মোদী সরকার?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ‘আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার’ বা আইএমএফ থেকে বিপুল পরিমাণে আর্থিক এবং সামরিক সাহায্য পাচ্ছে পাকিস্তান। ফলে জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে নয়াদিল্লির কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৭:৪৯
Share:
০১ ১৯

পাকিস্তানের তুঙ্গে বৃহস্পতি! বছরশেষে যেন জ্যাকপট লেগেছে ইসলামাবাদের। কারণ, ভারতের পশ্চিমের প্রতিবেশীর উপর ‘ডলার-বৃষ্টি’ শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ‘আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার’ বা আইএমএফ (ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড)। ফলে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেউলিয়ার দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা সে দেশের অর্থনীতি। সেই সঙ্গে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর দুঃস্বপ্ন ভুলে সামরিক শক্তি বাড়ানোরও সুযোগ পাচ্ছেন রাওয়ালপিন্ডির জেনারেলরা। গোটা বিষয়টিকে নয়াদিল্লির বিদেশনীতির ব্যর্থতা হিসাবেই দেখছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।

০২ ১৯

সম্প্রতি, মার্কিন পার্লামেন্ট ‘কংগ্রেস’-এর প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা বা ডিএসসিএ-র (ডিফেন্স সিকিউরিটি কোঅপারেশন এজেন্সি) একটি চিঠিকে উদ্ধৃত করে বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশ করে করাচির জনপ্রিয় গণমাধ্যম ‘দ্য ডন’। সেখানে বলা হয়েছে, ইসলামাবাদের বিমানবাহিনীর এফ-১৬ লড়াকু জেটের বহরকে অত্যাধুনিক করে তুলতে ৬৮ কোটি ৬০ লক্ষ ডলার মূল্যের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রাওয়ালপিন্ডিকে বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধবিমানের সংস্কারের পাশাপাশি ক্রিপ্টোগ্রাফিক-সহ বিপুল সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ এই প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement
০৩ ১৯

‘দ্য ডন’-এ প্রকাশিত ডিএসসিএ-র চিঠি অনুযায়ী, আগামী দিনে রাওয়ালপিন্ডির বিমানবাহিনীর জেট পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেবে মার্কিন বায়ুসেনা। এ-হেন প্রতিরক্ষা চুক্তিটিকে বাদ দিলে আমদানি-রফতানি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ইসলামাবাদকে ১২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই অর্থ দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের বালোচিস্তানের খনিসমৃদ্ধ রেকো-ডিক এলাকায় লগ্নির নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তামা ও সোনার পাশাপাশি সেখানকার কথিত বিরল খনিজ দীর্ঘ দিন ধরেই কব্জা করতে চাইছেন তিনি।

০৪ ১৯

গত ৮ ডিসেম্বর পাকিস্তানের জন্য ১২০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফের কার্যনির্বাহী বোর্ড। ভারতীয় মুদ্রায় যেটা প্রায় ১০ হাজার ৭৯৯ কোটি রুপি। পরে এই নিয়ে বিবৃতি দেয় ওই আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। সেখানে বলা হয়েছে, অনিশ্চিত ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদকে সার্বিক আর্থিক স্থিতিশীলতা আরও দৃঢ় করতে সঠিক নীতি বজায় রাখতে হবে। এর জন্য শাহবাজ় শরিফ সরকারকে বেসরকারি শিল্পক্ষেত্রকে মজবুত করার পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ।

০৫ ১৯

চলতি বছরের ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পাকিস্তানকে নিয়ে একের পর এক ‘ভাল’ খবর প্রকাশ্যে আসায় প্রশ্নের মুখে পড়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিদেশনীতি। ইসলামাবাদকে ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে আইএমএফের নীতির প্রবল বিরোধিতা করেছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু, সাউথ ব্লকের যাবতীয় প্রচেষ্টা যে জলে গিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। একে মোদী সরকারের কূটনৈতিক পরাজয় বলে সুর চড়িয়েছে লোকসভার প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস।

০৬ ১৯

এ বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় বারের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেন ট্রাম্প। জমকালো সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এর ঠিক এক মাসের মাথায় (পড়ুন ফেব্রুয়ারিতে) ওয়াশিংটন সফর করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট। বিরোধীদের অভিযোগ, ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত পর্যায়ের ‘বন্ধুত্ব’ থাকা সত্ত্বেও তার কোনও সুবিধাই নিতে পারেননি মোদী। উল্টে ‘মিত্রতা’র নামে দিব্যি ছুরি মেরে চলেছেন ‘পোটাস’ (প্রেসিডেন্ট অফ দ্য ইউনাইটেড স্টেটস)।

০৭ ১৯

গত ফেব্রুয়ারিতে মোদীর সফরের কিছু দিনের মধ্যেই এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ইসলামাবাদকে ৩৯.৭ কোটি ডলার দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ট্রাম্প সরকার। যদিও টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ শর্ত চাপিয়ে দেয় আমেরিকা, বলে এই লড়াকু জেট কেবলমাত্র সন্ত্রাসবাদ দমনে ব্যবহার করতে পারবেন রাওয়ালপিন্ডির সেনাকর্তারা।

০৮ ১৯

ওয়াশিংটনের শর্তে আরও একটি বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছিল। কোনও অবস্থাতেই এফ-১৬ ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার বা মোতায়েন করতে পারবেন না পাক সেনাকর্তারা। ওই সময় মার্কিন তদারকি কর্মসূচির অধীনে ইসলামাবাদকে এফ-১৬ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য টাকা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছিল ট্রাম্প সরকার। যদিও মে মাসে হওয়া ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় আমেরিকার সেই বিধিনিষেধ মানেনি ইসলামাবাদ।

০৯ ১৯

‘সিঁদুর’ পরবর্তী সময়ে পাক বিমানবাহিনীকে অত্যাধুনিক এআইএম ১২০ডি-৩ মাঝারি পাল্লার ‘আকাশ থেকে আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্র (এএমআরএএএম) যুক্তরাষ্ট্র সরবরাহ করতে চলেছে বলে বেশ কিছু গণমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে। ২০৩০ সালের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়াটি শেষ হবে বলে ওই সময় প্রতিবেদনগুলিতে দাবি করা হয়েছিল। এই নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধে উঠলে গত অক্টোবরে বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দেয় ওয়াশিংটন। বিবৃতিতে ট্রাম্প প্রশাসন জানায় ইসলামাবাদকে কোনও নতুন ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ দফতর।

১০ ১৯

পাকিস্তানকে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তি ছিল, পূর্বের সমঝোতা অনুযায়ী ওই হাতিয়ার সরবরাহ করবে ওয়াশিংটন। নতুন করে ইসলামাবাদের সঙ্গে কোনও অস্ত্রচুক্তি করেনি ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকার তরফে এ-হেন বিবৃতির পরেও ধোঁয়াশা পুরোপুরি কেটে গিয়েছিল, এমনটা নয়। এ ব্যাপারে রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলরা মুখে কুলুপ এঁটে থাকায় সন্দেহ আরও দানা বেঁধেছে।

১১ ১৯

পাকিস্তানের উপর যুক্তরাষ্ট্রের এ-হেন ‘কৃপাদৃষ্টির’ নেপথ্যে অবশ্য দুই হেভিওয়েটের ‘হাতযশ’কে চিহ্নিত করেছেন সাবেক সেনাকর্তারা। তাঁরা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ইসলামাবাদের সেনাসর্বাধিনায়ক ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। এর মধ্যে প্রথম জন চাইছেন আফগানিস্তান উপর আংশিক নিয়ন্ত্রণ। সেই লক্ষ্যে ইসলামাবাদকে ‘শিখণ্ডি’ হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছেন তিনি। আর তাই রাওয়ালপিন্ডির সেনাকর্তাদের সামনে ডলার ছড়াতে শুরু করছে তাঁর সরকার।

১২ ১৯

গত সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটি কব্জা করতে চেয়ে প্রকাশ্যেই সেখানকার তালিবান সরকারকে হুমকি দেন ট্রাম্প। গত শতাব্দীতে ‘ঠান্ডা লড়াই’-এর সময় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অর্থানুকূল্যে পঠানভূমিতে গড়ে ওঠে ওই বায়ুসেনা ছাউনি। ১৯৭৯ সালে আমু দরিয়া পেরিয়ে হিন্দুকুশের কোলের দেশটি দখল করে মস্কো। পরবর্তী ১০ বছর ওই বায়ুসেনা ঘাঁটিটিকে যথেচ্ছ ভাবে ব্যবহার করেছিল ক্রেমলিন।

১৩ ১৯

২০০১ সালে ৯/১১ জঙ্গি হামলার পর সেনা অভিযান চালিয়ে আফগানিস্তান দখল করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ফলে বাগরাম বিমানঘাঁটি হাতে পায় ওয়াশিংটন। পরবর্তী দশকগুলিতে হিন্দুকুশের বুকে সন্ত্রাসবাদীদের গুপ্তঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দিতে তা ব্যবহার করেছিল আমেরিকার বায়ুসেনা। ২০২১ সালে পঠানভূমি থেকে বাহিনী প্রত্যাহার করেন ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেন। কিন্তু, ‘আগ্রাসী’ চিনের উপর নজর রাখতে এ বার তা ফের চাইছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট।

১৪ ১৯

বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, পাকিস্তানের ব্যাপারে ট্রাম্পের ‘উপুড়হস্ত’ হওয়ার ক্ষেত্রে ফিল্ড মার্শাল মুনিরের অবদান নেহাত কম নয়। বালোচিস্তানের খনিজের লোভ দেখিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ‘বশ’ করেছেন তিনি। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর তাঁকে ঘন ঘন যুক্তরাষ্ট্র সফর করতে দেখা গিয়েছে। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বিরল খনিজের নমুনাও দেখিয়েছেন ইসলামাবাদের সেনা সর্বাধিনায়ক।

১৫ ১৯

‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং তাঁকে কেন্দ্র করে পাক ফৌজের সঙ্গে চার দিনের ‘যুদ্ধ’ থামতেই সংঘর্ষবিরতি নিয়ে বড় দাবি করে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বলেন, তাঁর মধ্যস্থতাতেই লড়াই থামিয়েছে পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশী। যদিও তা পত্রপাঠ খারিজ করে দেয় নয়াদিল্লি। এই নিয়ে সংসদে বিবৃতি পর্যন্ত দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট যে বিষয়টিকে একেবারেই ভাল চোখে দেখেননি, তা বলাই বাহুল্য।

১৬ ১৯

সাবেক সেনাকর্তাদের কেউ কেউ মনে করেন, পুরনো চুক্তির জন্যে কিছুটা বাধ্য হয়েই পাক বিমানবাহিনীকে শক্তিশালী রাখতে হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। এফ-১৬ লড়াকু জেটকে ইসলামাবাদের বায়ুসেনার শিরদাঁড়া বলা যেতে পারে। সংশ্লিষ্ট যুদ্ধবিমানটির নির্মাণকারী সংস্থা হল আমেরিকার ‘লকহিড মার্টিন’। কয়েক দশক আগে ওই লড়াকু জেট সরবরাহের আগে এর রক্ষণাবেক্ষণের প্রতিশ্রুতিও সম্ভবত দিয়েছিল ওয়াশিংটন।

১৭ ১৯

তবে বর্তমান পরিস্থিতিকে মোদী সরকারের কূটনৈতিক পরাজয় হিসাবে দেখতে নারাজ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের যুক্তি, ঐতিহাসিক ভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটা সুসম্পর্ক রয়েছে। গত শতাব্দীর ‘ঠান্ডা লড়াই’-এর সময় মার্কিন নেতৃত্বাধীন ‘কেন্দ্রীয় চুক্তি সংস্থা’ বা সেন্টো (সেন্ট্রাল ট্রিটি অর্গানাইজ়েশন) এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া চুক্তি সংস্থা বা সিয়াটো-র (সাউথ-ইস্ট এশিয়া ট্রিটি অর্গানাইজ়েশন) মতো সামরিক জোটের সদস্য ছিল ইসলামাবাদ।

১৮ ১৯

গত শতাব্দীর ৬০-এর দশক থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ যুদ্ধ পর্যন্ত পাকিস্তানের মূল অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ ছিল আমেরিকা। পরবর্তী সময়ে আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত ফৌজকে তাড়াতে ইসলামাবাদের গুপ্তচরবাহিনী আইএসআই-এর (ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স) সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘অপারেশন সাইক্লোন’ নামের একটি গোপন অভিযান চালায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ (সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি)। এর জেরে ১৯৮৯ সালে পঠানভূমি থেকে বাহিনী প্রত্যাহারে বাধ্য হয় মস্কো।

১৯ ১৯

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, যখনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে ডলার এসেছে তখনই জম্মু-কাশ্মীর, পঞ্জাব, মহারাষ্ট্র বা গুজরাটে জঙ্গি হামলা চালিয়েছে পাক মদতপুষ্ট যাবতীয় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। ফের এক বার সেই আশঙ্কা তীব্র হল বলেই মনে করা হচ্ছে। এর প্রভাব ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও দেখতে পাওয়া যেতে পারে। ফলে কোথাকার জল কোথায় গড়ায়, সেটাই এখন দেখার।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement