মানবজীবনে রুদ্রাক্ষের প্রভাব অপরিসীম। যেহেতু রুদ্রাক্ষের উৎপত্তির কারণ স্বয়ং শিব, তাই মানব জীবনে বিভিন্ন গ্রহের অবস্থান অনুসারে এর প্রভাব অস্বীকার্য। রুদ্রাক্ষ বিভিন্ন প্রকারের হয়। একমুখী, দ্বিমুখী, তিনমুখী ইত্যাদি। এখন দেখে নেওয়া যাক কোনও রাশি বা লগ্নের ক্ষেত্রে কী ভাবে কাজ করে।
তুলাঃ- লগ্ন/ রাশিঃ কর্ম এবং ভাগ্যোন্নতির জন্য সাতমুখী ধারণ করুন। ব্যবসা এবং অর্থনৈতিক উন্নতি করতে চোদ্দমুখী, মানসিক শান্তি পেতে চারমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করুন ।
বৃশ্চিকঃ- লগ্ন/রাশিঃ কর্মে সফলতা পেতে তেরোমুখী, কর্ম স্থানে নাম-যশ পেতে বারোমুখী, আর্থিক সফলতা পেতে ন’মুখী, অর্থ সঞ্চয় করতে সাতমুখী, মানসিক শান্তি পেতে চারমুখী, ভাগ্যোন্নতিতে চারমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করুন।
ধনুঃ- লগ্ন/রাশিঃ- ব্যবসা এবং কর্মক্ষেত্রে মান পেতে এবং নিজের নিজের ভাগ্যকে উন্নত করতে বারোমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করুন। সন্তানের থেকে উন্নতি পেতে হলে পাঁচমুখী, কর্মক্ষেত্রে উন্নতির জন্য এগারো মুখী।
মকরঃ- লগ্ন/রাশিঃ- ভাগ্য উন্নতির ক্ষেত্রে ন’মুখী, ফাটকা কারবারে উন্নতি করতে এগারোমুখী, ব্যবসায় উন্নতি করতে সাতমুখী, কর্মস্থলে মান, যশ পেতে এগারোমুখী, মানসিক শান্তি পেতে চোদ্দমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করুন।
কুম্ভঃ-লগ্ন/রাশিঃ- বারোমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করুন নিজের ব্যক্তিত্বকে আরোও উন্নতি করতে চাইলে। আটমুখী, অর্থনৈতিক উন্নতি করতে। কর্মক্ষেত্রে মান-যশ বৃদ্ধি পেতে চোদ্দমুখী এবং মানসিক শান্তি ও ভাগ্য উন্নতি করতে এগারোমুখী।
মীনঃ-লগ্ন/রাশিঃ- বুদ্ধির বিকাশের জন্য ধারণ করুন তেরোমুখী, ব্যবসায় উন্নতি এবং মানসিক শান্তির জন্য ন’মুখী, কর্মস্থানে মান-যশ পেতে সাতমুখী, অর্থ সঞ্চয়ে ও ভাগ্য উন্নতি করতে ন’মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করুন।