সর্ব গুণাম্বিত এই দশমুখী রুদ্রাক্ষ। ভগবান বিষ্ণু যে দশ অবতার হয়েছিলেন মৎস্য, কূর্ম, বরাহ, বামন, বুদ্ধ, রাম, কল্কি, প্রমুখ সেই দশাবতারের শক্তি গুলি এই দশমুখী রুদ্রাক্ষের মধ্যে নিহিত আছে বলে মুনি ঋষিগণ বিচার করে গেছেন। তাই ইহা ধারণকারীর বাকসিদ্ধ হয়ে থাকে। ইহাতে ভগবান শ্রীবিষ্ণুর দয়া ও মোক্ষলাভ হয়ে থাকে। বিষ্ণু ভক্ত বৈষ্ণবমণ্ডলী তুলসীর সাথে সাথে এই পবিত্র রুদ্রাক্ষ ধারণ করে থাকেন।
দশমুখী রুদ্রাক্ষ স্বয়ং বিষ্ণুর স্বরূপ। এটি গ্রহ, পিশাচ, বেতাল, দৈত্য, রাক্ষস প্রভৃতি থেকে শান্তি দান করে থাকেন।
আবার এই দশমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে নবগ্রহ শান্ত থাকে।
দশদিক দশমুখী রুদ্রাক্ষের অধিপতি। ভগবান বিষ্ণু এর আদি দেবতা। এই দশমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণকারীর নাম যশ দশদিকে প্রকাশিত হয়। এই রুদ্রাক্ষ ধারণকারী ব্যক্তি সব দিকে শান্তিতে বিচরণ করতে সক্ষম হন।
তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে যে এই দশমুখী রুদ্রাক্ষ মন্ত্র সহকারে ধারণ করলে বেশী কার্যকরি হয়।
এই দশমুখী রুদ্রাক্ষ দক্ষিন হস্তে ধারণ করতে হবে। যদি কোনও ব্যক্তি এই রুদ্রাক্ষ মন্ত্র সহযোগে দক্ষিন হস্তে ধারণ করে তা হলে সেই ব্যক্তির সকল দিকের বিঘ্ন বিনাশিত হয়।
মন্ত্র — অম্ হীং নমঃ।