এই রাশির জাতক-জাতিকারা খুব বিশ্বাসী এবং সংস্কার মুক্ত হয়। সাধুসঙ্গপরায়ণ এবং ধর্মশাস্ত্র নিয়ে আলোচনায় সব সময় তৎপর থাকেন। যোগাদি করার ইচ্ছা এদের প্রবল থাকে। এরা মনে করে সততাই জীবনের মূলধন। এই সততাকে আঁকড়ে ধরে জীবন এগিয়ে নিয়ে যায়। মানসিকতা দৃঢ় থাকে, আবার একটু স্বাধীনচেতা হয়। এরা অল্পে সন্তুষ্ট হয়। তবে কখনও বেশি কিছু পেলে আনন্দে অভিভূত হয়ে যায় না। এরা কম কথা বলতে ভালবাসে, কিন্তু যেটুকু বলেন তার পুরোটাই বুদ্ধিদীপ্ত ও শানিত। এরা মাথা নত করতে একদম রাজি হয় না। পরনির্ভরতা এদের স্বভাব বিরুদ্ধ।
এই রাশির জাতক জাতিকারা খুবই স্নেহপ্রবণ হয়। সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পছন্দ করে। জীবনে নানা খারাপ সম্পর্ক আসে কিন্তু এরা তার বহিঃপ্রকাশ ঘটায় না। নীরবে সব সহ্য করে চলে। কারও সঙ্গে হিংসা করা এদের আদর্শ বিরোধী।
এই রাশির জাতক-জাতিকাদের বিদ্যাস্থান ভাল হয় না। নানা প্রতিকূল পরিবেশকে হার মানিয়ে পড়াশোনা করতে হয়। তবে এদের বুদ্ধি ও নিপুণতা থাকে প্রচুর। যে জন্য বিজ্ঞান, চিকিৎসা এবং রসায়নে এরা দক্ষ হয়। এদের কর্মপদ্ধতি হয় স্নেহ-প্রীতি ও সামাজিকতা হয় ভিন্ন ধরনের। এরা খুব সুক্ষ চিন্তাশীল ও গুণবান হয়।
এরা খুব বাস্তব বুদ্ধি সম্পন্ন হয়। যে জন্য স্থির লক্ষ্যে পৌঁছতে খুব একটা দেরী হয় না। বেশি বয়সে চাকরিলাভ এবং তাতে সুনাম ও সমৃদ্ধি দুটোই আসে।
বিবাহক্ষেত্রে এদের তেমন ব্যাঘাত ঘটে না। এদের স্ত্রী বা স্বামী হন গুণসম্পন্ন ও মধুর স্বভাব বিশিষ্ট। বিবাহিত জীবন এদের সুখশান্তিপূর্ণ হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সম্বন্ধ করেই বিবাহ হয়। কিন্তু এরা পারিবারিক জীবনে খুব একটা সুখী হন না। নিজের লোকজনদের মধ্যে মাঝে মাঝে ভুল বোঝাবুঝি থেকেই যায়। এদের প্রথম সন্তান মেয়ে হওয়ার সম্ভবনাই বেশি থাকে।
এদের শুভ রঙ – নীল, ছাই, সাদা।
শুভ বার – বৃহস্পতি ও শুক্রবার।
শুভ নম্বর – ৩,৯/৫,৬।
শুভ পাথর – পান্না, এমিথিস্ট এবং সি গোমেদ।
তবে পাথর গ্রহণ করার পূর্বে কোনও শিক্ষিত জ্যোতিষীকে দিয়ে ছক বিচার করানো শ্রেয়।