ছবি: (এআই সহায়তায় প্রণীত)।
নিজের খারাপ ভাগ্য বদলাতে সকলেই চান। অনেক পরিশ্রমও করেন তার জন্য। কিন্তু তা-ও দিনের শেষে গিয়ে মনের মতো ফল পান না। দিনের পর দিন এমনটা হলে শেষে গিয়ে আত্মবিশ্বাসে আঘাত পাওয়া স্বাভাবিক। তখন মন থেকে কাজ করার ইচ্ছাই উধাও হয়ে যায়। তবে শাস্ত্র জানাচ্ছে কাজ করেও ফল না পাওয়ার নেপথ্যে থাকতে পারে নানা কারণ। সেই সকল কারণের হদিস পাওয়ার জন্য অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর কাছে পরামর্শ নিলে অবশ্যই ভাল হয়। কিন্তু সকলের পক্ষে সর্বদা জ্যোতিষীর কাছে ছুটে যাওয়া সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে নানা টোটকা পালনে ভাগ্যের হাল বদলানো সম্ভব।
কমবেশি সকলের বাড়িতেই তালা ব্যবহার করা হয়। আমাদের দরকারি জিনিসকে সুরক্ষিত রাখার জন্য তালার জুড়ি মেলা ভার। তবে এই তালাই হতে পারে আমাদের সৌভাগ্যের তালার চাবি। পালন করতে হবে সহজ কিছু উপায়। জেনে নিন সেগুলি কী।
তালার উপায়:
সফলতার পথে আসা বাধা দূর করতে: দোকান থেকে একটি নতুন তালা কিনে আনুন। সেটিকে চাবি দিয়ে খুলবেন না, দোকানদারকেও খুলতে দেবেন না। বাড়িতে আনার পর সেটি পুজোর জায়গায় রেখে দিন এবং দেবতার আরাধনা করার সময় সেটিরও পুজো করুন। তার পর বাড়ি থেকে দূরে কোনও মন্দিরের সামনে গিয়ে সেটি কাউকে দান করে দিন। যে কোনও সপ্তাহের মঙ্গলবার বা শনিবার এই কাজটি করুন। দেখবেন সফলতার পথে আসা সকল বাধা এক এক করে কেটে যাবে।
অর্থসঙ্কট কাটিয়ে উঠতে: অর্থসঙ্কট কাটাতেও প্রয়োজন একটি অব্যবহৃত, নতুন তালার। সেটিকেও চাবি দিয়ে খোলা যাবে না, বন্ধ অবস্থাতেই রাখতে হবে। সন্ধ্যাবেলা স্নান সেরে কোনও মন্দিরে নিয়ে গিয়ে তালাটিকে পুজো দেওয়ান। তার পর সেটিকে বাড়িতে নিয়ে এসে বালিশের তলায় রেখে ঘুমোন। দেখবেন অর্থসমস্যা ধীরে ধীরে জীবন থেকে বিদায় নেবে।
কর্মক্ষেত্রে সমস্যা: কর্মক্ষেত্রে ঘন ঘন সমস্যার সম্মুখীন হতে হলে দোকান থেকে একটি নতুন লোহার তালা কিনে আনুন। সেটিকে চাবি দিয়ে খুলবেন না, দোকানদারকেও খুলতে দেবেন না। বন্ধ অবস্থাতেই সেটিকে হনুমানজির পায়ের সামনে সারা রাত রেখে দিন। মন চাইলে তাতে অল্প কমলা সিঁদুর লাগাতে পারেন। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সেটিকে কোনও মন্দিরে দান করে দিন। কাজের জায়গায় সকল সমস্যা থেকে ধীরে ধীরে মুক্তি পাবেন।
দুঃখ দূর করতে: জীবনে যদি একের পর এক অশান্তি লেগেই থাকে, তা হলে সেটি কাটাতেও সাহায্য করবে তালা। শুক্রবার একটি তালা কিনে আনুন। শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে ও শুদ্ধ বসন পরে তালাটি নিয়ে শনিমন্দিরে গিয়ে সেটি দান করুন। তার পর সেখান থেকে চলে আসুন, পিছনে ফিরে তাকাবেন না। এই আচারটি কাউকে না জানিয়ে করতে হবে। দেখবেন অশান্তি কিছুটা হলেও কমবে।