বাস্তুতে ব্রহ্মস্থানের ঐশ্বরিক তাৎপর্য

একজন গৃহীর কাছে ব্রহ্মস্থানের ঐশ্বরিক গুরত্ব যে অনেক এই শ্লোকে তা বলা হয়েছে। ব্রহ্মস্থানে এমন কোনও কাজ করা যাবে না, যাতে বাস্তুদেবতা কুপিত হন।

Advertisement

অসীম সরকার

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৮ ০০:০০
Share:

জমির মধ্যস্থানকে ব্রহ্মস্থান বলে। আবার ঘরের মাঝখানকেও ব্রহ্মস্থান বলে। ব্রহ্মস্থান বাস্তুদেবতার নাভি। শাস্ত্রে বলা আছে, ‘সুখ মিচ্ছন ব্রহ্মস্থানং যত্নাদ্রক্ষেদ্র গৃহী গৃহান্তসৃং’। একজন গৃহীর কাছে ব্রহ্মস্থানের ঐশ্বরিক গুরত্ব যে অনেক এই শ্লোকে তা বলা হয়েছে। ব্রহ্মস্থানে এমন কোনও কাজ করা যাবে না, যাতে বাস্তুদেবতা কুপিত হন। এ বার ব্রহ্মস্থানকে কী ভাবে রাখলে বাস্তু দেবতা কুপিত হবেন না, তার কয়েকটি নিয়ম—

Advertisement

(১) গৃহ বা ঘর যদি ছোট হয়, তবুও মাঝখানটা একটু ফাঁকা রাখার চেষ্টা করতে হবে। সেখানে কোনও জিনিস বা আসবার রাখা চলবে না।

(২) একই ভাবে বাড়ির জমির মাঝখান পুরো ফাঁকা রাখতে হবে‌। এইখানে গর্ত করা, কূয়ো খনন করা চলবে না বা সেপ্টিক ট্যাঙ্ক করা চলবে না।

Advertisement

(৩) ঘরের ব্রহ্মস্থানটি অত্যন্ত পবিত্র। পবিত্র স্থান বলেই এইখানে কোনও জুতো, পাদুকা বা ডাস্টবিন রাখা যাবে না।

(৪) বাড়ি বড় হলে এবং অনেক গুলো ঘর থাকলে মাঝের ঘরটি ব্রহ্ম স্থান বলে চিহ্নিত করে, পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রেখে, সেখানে পূজা-পাঠ বা শাস্ত্রীয় আচার-অনুষ্ঠান করা যেতে পারে।

(৫) দোকান হলে ব্রহ্মস্থান ফাঁকা রেখে পবিত্র জিনিসপত্র রাখা যেতে পারে, যেমন মহাপুরুষের মূর্তি বা ছবি।

(৬) অফিসের ব্রহ্মস্থান সব সময় ফাঁকা, পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, মাঝে মধ্যে সেমিনার, কনফারেন্স বা সভা করা যেতে পারে।

(৭) ঘরের ব্রহ্মস্থানে কোনও গর্ত করা বা পেরেক পোঁতা যাবে না। অপরিষ্কার খাওয়ার থালা-বাসন ওখানে আনা যাবে না।

(৮) ব্রহ্মস্থানে কোনও থাম রাখা যাবে না। কোনও নির্মাণকার্য করা যাবে না।

(৯) ব্রহ্মস্থান যথাসম্ভব খালি রাখলে গৃহের বা বাড়ীর মঙ্গল হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন