পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষের গুনাগুণ

পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ শান্তিদায়ক, পাপনাশক। গো-ব্রাহ্মণ হত্যাকারীর পাপমোচন করে। এতে মানুষের শ্রীবৃদ্ধি ঘটে। এই রুদ্রাক্ষ ধারনে মানবের আধ্যাত্মিক জ্ঞান ও ধর্মানুশীলন বৃদ্ধি পায়।

Advertisement

শ্রীমতী অপালা

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০০:০২
Share:

পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ শান্তিদায়ক, পাপনাশক। গো-ব্রাহ্মণ হত্যাকারীর পাপমোচন করে। এতে মানুষের শ্রীবৃদ্ধি ঘটে। এই রুদ্রাক্ষ ধারনে মানবের আধ্যাত্মিক জ্ঞান ও ধর্মানুশীলন বৃদ্ধি পায়।

Advertisement

বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ স্বয়ং কালাগ্নি শক্তির কেন্দ্র। এই রুদ্রাক্ষ অপেক্ষাকৃত সুলভ। এই রুদ্রাক্ষ সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। এই রুদ্রাক্ষ একসাথে তিনটি ধারন করতে হবে। একটি বা দু’টিতে কোনও কাজ হয় না। তিনটি ধারনে মনস্কামনা পুর্ন হয়। এটা সর্বপ্রকার পাপ থেকে মুক্তি দান করে।

• যদি কোনও ব্রাহ্মণ সুবর্নের হারের সাথেও রুদ্রাক্ষ ধারন করতে সক্ষম হন তিনি রুদ্রলোক প্রাপ্ত হন। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

Advertisement

• শিবতুল্য রুদ্রাক্ষ ধারণে সহসা সকলের মন যায় না। তার জন্য পূর্বজন্মের সুকৃতি থাকা প্রয়োজন। সুকৃতির ফলে শিবের কৃপা হলে এমনিতে মানুষের মনে ইচ্ছা হয় শ্রদ্ধা সহকারে রুদ্রাক্ষ ধারন ও পূজা করতে। যেমন — কোটি জন্মের থাকলে ভাগ্য। বিষয় ছেড়ে হয় বৈরাগ্য ।

• ভক্তিভরে গলদেশে রুদ্রাক্ষ ধারন করলে যদি সে ব্যক্তি পাপও করে থাকে তা হলে তার পাপ অনায়াসে খণ্ডিত হয়ে যায়।

• পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণকারী ব্যক্তি বিশাল শাস্ত্রজ্ঞ হয়ে থাকেন। এটা মানুষের ভাব মুর্তির অনেকটা পরিবর্তন ঘটায়।

• পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ পঞ্চ ব্রহ্মার স্বরূপ। রুদ্রাক্ষ ধারণকারীর উপর শিব সর্বদা সন্তুষ্ট থাকেন। এবং শারীরিক জ্ঞানেন্দ্রিয় গুলিকে এই রুদ্রাক্ষ সজাগ করে তোলে। যে কোনও কাজের জন্য পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ ধারন করা যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন